আ’লীগসহ ১১ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগসহ ১১ দলকে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ চেয়ে এবং বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে করা দুটি রিট না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আবেদনকারীরা। গতকাল মঙ্গলবার রিট দুটি হাইকোর্টের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য এলে সেগুলো না চালানোর কথা জানান রিটকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম। পরে সংশ্লিষ্ট দুটি রিট আবেদন ‘উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ’ করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
পরে আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, রিটকারীরা আর রিট আবেদন চালাতে চান না। এ কারণে হাইকোর্ট রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন।

রিটকারীরা কেন চালাতে চান না– এমন প্রশ্নে আইনজীবী বলেন, ক্লায়েন্ট (মক্কেল) প্রত্যাহার করার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই প্রত্যাহার করা হয়েছে। কী কারণে তারা মামলা চালাতে চান না, তা জানা নেই। তবে সার্বিক গণতন্ত্রে উত্তরণ ও দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্য রিটকারীর এ সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, এখানে ভুলক্রমে কিছু কিছু দলের নাম চলে এসেছে, যা অনিচ্ছাকৃত। কিছু নাম বাদও পড়েছে। রিট চালানো হলে নামগুলো বাদ যেত।

এর আগে গত রোববার আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা এবং সর্বশেষ তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম, আবুল হাসনাত (হাসনাত আবদুল্লাহ) ও হাসিবুল ইসলাম। আওয়ামী লীগ ছাড়া অপর ১০টি দল হচ্ছে জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী দল, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোশ্যালিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ। একই দিনে দুটি রিটের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা হয়।