মোঃ সাইফুল ইসলামঃ
সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের মতো ইউনিয়ন পরিষদেও প্রশাসক নিয়োগের বিধান করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে জাতীয় সংসদে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) বিল–২০২৪’ তোলা হয়েছে।রোববার (৫ মে) স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সাত দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলটি উত্থাপনের বিরোধিতা করেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। গণতন্ত্রের ধারণার বিপরীতে এ সংশোধনীটা আনা হচ্ছে অভিযোগ করে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, স্থানীয় সরকার ধারণা নসাৎ করাই নয়, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটি কোনোদিন আমরা কার্যকর করতে দেইনি। জাতীয়ভাবে আমরা এখনও গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন হতে পারিনি। এজন্য যেখানেই কোনও সংকট দেখি, সেখানেই প্রশাসক নিয়োগ করতে দেখি।
বিলে বলা হয়েছে, কোনও এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর, কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। তবে প্রশাসক নিয়োগ হবেন কেবল একবারের জন্য এবং ১২০ দিনের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কোনও দৈব দুর্বিপাকের কারণে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার এই মেয়াদ আরও ৬০ দিন বাড়াতে পারবে। অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার এই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনও চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। বিদ্যমান আইনে বর্তমানে জরিমানার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা।এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদটির নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা।