নিজস্ব প্রতিবেদক:
এবার রাজধানীতে ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর)। দীর্ঘদিন ধওে তারা কক্সবাজার থেকে প্রথমে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি এবং পরে খাগড়াছড়ি হয়ে লোকাল বাসে উঠে কয়েক ধাপে ফেনীতে ইয়াবা নিয়ে আসেন হাবিব উল্লাহ (৫০)। ছেলে ছালাহ উদ্দিনকে (১৯) আগেই পাঠিয়ে দিয়ে সেসব রুটের চেকপোস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার তথ্য জেনে নেন তিনি। এরপর ছেলের ক্লিয়ারেন্সে ফেনী থেকে ইয়াবার চালান নিয়ে প্রবেশ করেন ঢাকায়। তবে এমন কৌশলেও শেষরক্ষা হয়নি পিতা-পুত্রের। মূলত রাজধানীতে ইয়াবা কারবারে লিপ্ত ছিলেন পিতা-পুত্র। গতকাল শনিবার (২৪ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন গোলাপবাগ এলাকা থেকে হাবিব উল্লাহ ও তার ছেলে ছালাহ উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর)। এসময় তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। আজ রোববার (২৫ জুন) দুপুরে নিউজ পোস্ট বিডিকে এ তথ্য জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল চক্রটি বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় অবস্থান করবে। সে মোতাবেক তথ্য সংগ্রহ করে আমরা তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থাকি। রাত ২টার দিকে বিশ্বরোডস্থ গোলাপবাগ এলাকা থেকে চক্রের অন্যতম মূলহোতা হাবিব উল্লাহ ও তার ছেলে ছালাহ উদ্দিনকে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়।
ইয়াবা পাচারের বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ইয়াবা পাচারের জন্য মহাসড়কের বিকল্প হিসেবে কক্সবাজার থেকে প্রথমে বান্দরবান-রাঙ্গামাটি ও সবশেষ খাগড়াছড়ি হয়ে লোকাল বাসে কয়েক ধাপে ফেনী আসেন হাবিব উল্লাহ। ছালাহ উদ্দিন আগেভাবে সেসব রুটে দাউদকান্দি টোলপ্লাজাসহ গুরুত্বপূর্ণ চেক পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার বিষয়ে আগে তার বাবা হাবিব উল্লাহকে অবহিত করেন। ছেলের ক্লিয়ারেন্সের ভিত্তিতে হাবিব সুযোগ বুঝে ছদ্মবেশে কৌশলে ইয়াবার চালান নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করেন। এর আগেও তারা একই কৌশলে বিপুল পরিমাণ ইয়াবার চালান ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পাচার করেছে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।