ইরি-বোরো মৌসুমের শুরুতেই সারের দাম চড়া

প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫

 

বগুড়া প্রতিনিধি:

অল্প ক’দিনের মধ্যই বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কৃষকরা পুরোপুরি ভাবে ইরি-বোরো চাষে ব্যস্ত হয়ে পরবে। উপজেলার কোন কোন গ্রামের দু-চারজন কৃষক ইরি-বোরো চাষ শুরু করেছে। এসময় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চড়া দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এতে ইরি-বোরো চাষের খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন এ উপজেলার কৃষকরা। এদিকে বিসিআইসি ও বিএডিসি সার ডিলাররা বলছেন সারের বরাদ্দ কম। এজন্য কোনো কোনো সার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিএডিসি ২৩ জন ও বিসিআইসি ১৩ জন ডিলার আছে। এর মধ্যে সার তোলেন ৭/৮ জন ডিলার। এ উপজেলার সার ব্যবসায়ীরা প্রতিবস্তা টিএসপি ১৫৪০ থেকে ১৬০০ টাকা, এমওপি ১১৫০ থেকে ১২০০ ও ইউরিয়া সার ১৩৫০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

অপরদিকে কৃষি অফিস বলছে, খুচরা বাজারে প্রতিবস্তা টিএসপি ১৩৫০ টাকা, এমওপি ১০০০ টাকা ও ইউরিয়া ১৩৫০ টাকায় বিক্রি করতে হবে। গত ডিসেম্বর মাসে নন্দীগ্রাম উপজেলায় টিএসপি ৩০৪ মেট্রিক টন, ইউরিয়া ৬৫৬ মেট্রিক টন ও এমওপি ৩৭৭ মেট্রিক টন সার ছিল। জানুয়ারি মাসের জন্য টিএসপি ২৯১ মেট্রিক টন, ইউরিয়া ১২৮৪ মেট্রিক টন ও এমওপি ৩৯৩ মেট্রিক টন সার এ উপজেলায় বরাদ্দ আছে।

উপজেলার দলগাছা গ্রামের ভুক্তভোগী কৃষক মোকলেছার রহমান বলেন, ইরির মৌসুম শুরু হতেই সারের দাম বেশি। আবার চাহিদা মতো সারও পাওয়া যাচ্ছেনা। দোকানদাররা সার নাই নাই বলছে কিন্তু বস্তাকে ২০০-৩০০ টাকা বেশি দিলেই সার দিচ্ছে।

এ বিষয়ে শিমলা বাজারের বিএডিসি ডিলার মোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য গেলে তিনি সারের বাজার নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি।
রণবাঘা বাজারের বিসিআইসি ডিলার রাজীব প্রসাদ জানান, সারের দাম বেশি নাইতো। ইউরিয়া সার সরকারি দরের চেয়ে কম। টিএসপি ও এমওপি সার বেশি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ১৩৩ বস্তা সরকারি বরাদ্দ হয়েছে। এই সার দিয়ে কি উপজেলায় মেকাপ হবে। বিভিন্ন কথায় সে বেশি দামের বিষয়টি এড়িয়ে যান।

কুন্দারহাটের সার ব্যবসায়ী মামুনুর রশীদ বলেন, দেশের ডিলার ব্যবস্থাপনা ভালো না। নন্দীগ্রামের ডিলাররাই বেশি দামে সার বিক্রি করছে। যারা ডিলার আছে তারা ঠিকমতো মাল উঠায় না। চাহিদা মতো সার এ উপজেলায় নেই।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক বলেন, সারের সরকারি যে খুচরা মূল্য তার চেয়ে বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ নেই। এর আগে সারের দাম বেশি নেওয়ার জন্য বিভিন্ন দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে। এধরনের অভিযোগ পেলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো।