ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় অভিযানে ৭৫ হাজার কেজি মাছ উদ্ধার, ৩৯ কোটি মিটার জাল জব্দ 

প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় অভয়াশ্রমে দুই মাসব্যাপী ছয় জেলায় অভিযানে ৩৯ কোটি ৩১ লাখ ১৯ হাজার ৩শ ৯৩ মিটার অবৈধভাবে মৎস্য শিকারে ব্যবহৃত জাল, ৭৫ হাজার ৪৭৯ কেজি মাছ জব্দ করেছে নৌপুলিশ। এসময়ে ৪১৯টি নৌযান এবং ৩২০টি মামলা করা হয়। অভিযানে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হয় ২ হাজার ৪৭৫ জনের বিরুদ্ধে।

রোববার (৫ মে) বিকেলে নৌপুলিশ সদর দপ্তর পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কাজী নুসরাত এদীব লুনা জানান, দেশের অন্যতম ভৌগোলিক পণ্য হিসেবে খ্যাত ইলিশ রক্ষায় মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন-১৯৫০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ৫-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ৬টি জেলা নৌ এলাকাকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। এলাগুলো হলো- ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালি, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর জেলার মেঘনা নদীর ঊর্ধ্ব ও নিম্ন অববাহিকা, তেঁতুলিয়া নদী, আন্দার মানিক নদী, পদ্মা ও কালাবদর নদীর ৪৩২ কিলোমিটার এলাকার ছয়টি ইলিশ অভয়াশ্রম।

এরমধ্যে পাঁচটি অভয়াশ্রমে মার্চ-এপ্রিল দুইমাস সব ধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ছিল। ইলিশ রক্ষায় নৌপুলিশ জনগণকে সচেতন করার জন্য বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালায়। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কিছু অসাধু জেলে নদীতে মাছ শিকার করলে নৌপুলিশ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়। নৌপুলিশের সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নৌপুলিশ সদস্যরা পদ্মা, মেঘনাসহ অন্যান্য নদীতে টহলের মাধ্যমে কড়া নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলে।দুই মাসব্যাপী অভিযানে ৩৯ কোটি ৩১ লাখ ১৯ হাজার ৩শ ৯৩ মিটার অবৈধ ভাবে মৎস্য শিকারে ব্যবহৃত জাল, ৭৫ হাজার ৪৭৯ কেজি মাছ, ৪১৯টি নৌযান জব্দসহ ৩২০টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় মোট ২ হাজার ৪৭৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইলিশ অভয়াশ্রমে অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে নৌপুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে নৌপুলিশ দেশব্যাপী ঘোষিত ৬টি ইলিশ অভয়াশ্রমে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেছে। আশা করা যায়, বাংলার ঐতিহ্য ইলিশ মাছের উৎপাদন বিগত যেকোনো বছরের তুলনায় এবার বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে, যা বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি প্রবৃদ্ধিতে সরাসরি ভূমিকা পালন করবে।