ডেস্ক রিপোর্ট:
ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে শুক্রবার রাতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলার পর সব ধরনের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে ইরান।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে- ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইরানে সব রুটের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ইসরায়েলি হামলার মধ্যে ইরান তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে।
ইসরায়েলের শক্তিশালী হামলায় তেহরানের আশপাশের এলাকাগুলো বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। হামলার সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বাংকারের মধ্যে ছিলেন। তেলআবিবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে একটি ভূগর্ভস্থ কক্ষে (বাংকার) ছিলেন তারা।
৭ মাসের কম সময়ের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে এটি দ্বিতীয়বার পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা। এর আগে গত ১ অক্টোবর রাতে ইরানের সামরিক বাহিনী (আইআরজিসি) ইসরাইলের সামরিক, গুপ্তচর এবং গোয়েন্দা ঘাঁটিগুলো লক্ষ্যে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলা চালায়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, তেহরানে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রাজধানীর কাছের শহর কারাজেও বিস্ফোরণ ঘটেছে। স্থানীয় এক বাসিন্দার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানে সাতটি বিস্ফোরণের শব্দ গুনেছেন তিনি। এসব বিস্ফোরণে আশপাশের এলাকাগুলো কেঁপে ওঠে।
এদিকে হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র সেন সাভেট একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আত্মরক্ষার জন্য ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এটি ১ অক্টোবর ইরানের হামলার জবাব।
গত বছরের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। সম্প্রতি লেবাননেও ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে তারা। এসব হামলায় সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও হিজবুল্লাহর প্রধান নিহত হওয়ার পর ১ অক্টোবর ইসরাইলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। গত ছয় মাসের মধ্যে এটি ছিল ইসরাইলে ইরানের দ্বিতীয় হামলা। এ নিয়ে গত সপ্তাহে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছিলেন, ইসরাইলের ক্ষতি করার চেষ্টার জন্য শত্রুদের ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে।