লাইফস্টাইল ডেস্ক:
উচ্চ রক্তচাপের কারণে ধমনীতে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যায়। জেনেটিক্স, বয়স এবং জীবনযাত্রার ধরন হাইপারটেনশনের নেপথ্যে কাজ করতে পারে। যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং রেনাল ফেইলিওরের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। লাইফস্টাইল পরিবর্তন যেমন সুষম খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম, স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. উচ্চ সোডিয়াম গ্রহণ
অত্যধিক সোডিয়াম গ্রহণ, প্রাথমিকভাবে লবণ থেকে তরল ধারণ এবং রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। অত্যধিক সোডিয়াম গ্রহণের ফলে শরীর পানি ধরে রাখতে পারে, যার ফলে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ধমনীর দেয়ালে চাপ পড়ে।
২. কম পটাসিয়াম গ্রহণ
চিকিৎসকের মতে, পটাসিয়াম শরীরে সোডিয়ামের প্রভাবের ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ভাসোডিলেশনে (রক্তনালীর শিথিলকরণ) কাজ করে। কম পটাসিয়াম এবং উচ্চ সোডিয়ামযুক্ত খাবার এই ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করতে পারে।
৩. অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন
অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করলে তা রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং সেইসঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। অ্যালকোহল উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তখন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়।
৪. উচ্চ স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ
স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার বেশিরভাগ প্রক্রিয়াজাত এবং ভাজা খাবারে পাওয়া যায়, এগুলো প্রদাহ এবং ধমনী শক্ত হওয়ার নেপথ্যে কাজ করে যা উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে। এই ফ্যাট ওজন বৃদ্ধি এবং স্থূলত্বের কারণ হতে পারে, যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকির কারণ।
৫. কম ফাইবার গ্রহণ
ফাইবার কম খাওয়া বিশেষ করে ফলমূল, শাক-সবজি এবং আস্ত শস্য কম খেলে তা উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে, তৃপ্তি বাড়াতে এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। আর এর অভাব হলে তখন রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে।
৬. অত্যধিক চিনি খাওয়া
অতিরিক্ত শর্করা যুক্ত খাবার, বিশেষ করে চিনিযুক্ত পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার ওজন বৃদ্ধি, ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রদাহ বৃদ্ধি করে উচ্চ রক্তচাপে অবদান রাখতে পারে। উচ্চ চিনি গ্রহণ সরাসরি রক্তচাপের মাত্রা বাড়াতে পারে।
৭. কম ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ
ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে জড়িত অপরিহার্য খনিজ। এ জাতীয় খাবার কম খেলে তা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার (যেমন দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং শাক-সবুজ) এবং ম্যাগনেসিয়াম (যেমন বাদাম, বীজ এবং আস্ত শস্য) খেলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে।