উচ্ছ্বাসিত দাউদকান্দির কৃষকরা

প্রকাশিত: ২:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২৫

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এবার বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া, কম পোকামাকড়ের আক্রমণ ও স্থানীয় জাতের বীজ ব্যবহারের ফলে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছেন। বাজারেও ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবং কাঙ্ক্ষিত মূল্য পেয়ে উচ্ছ্বাসিত দাউদকান্দির কৃষকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দাউদকান্দির ভেলানগর ও আশেপাশের গ্রামগুলোতে প্রায় দুই শতাধিক বছর ধরে বাঙ্গি ও তরমুজের চাষ হয়ে আসছে। তবে, তরমুজের ফলন কম হওয়ায় কৃষকরা এখন বাঙ্গি চাষের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে।

ভেলানগর গ্রামের বাঙ্গি চাষি পারভীন বেগম জানান বলেন, “আমি এ বছর ৯০ শতক জমির মধ্যে বাঙ্গির চাষ করেছি। এতে আমার খরচ পড়েছে হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। আজকে প্রথম দিনেই আমার জমি থেকে ১১৭টি বাঙ্গি ১৩ হাজার টাকায় পাইকারি দামে বিক্রি করতে পেরেছি। সামনে ২০-৩০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবো।”

আবুতাহের মোল্লা নামে আরেক বাঙ্গি চাষি বলেন, শনিবার থেকে জমি হতে বাঙ্গি কাটা শুরু করছি। প্রথম কাটায় ১৪০ থেকে ১৫০টাকা, দ্বিতীয় কাটায় ১২০, তৃতীয় কাটায় ১০০ থেকে ১২০ টাকা মূল্যে প্রতি পিচ বাঙ্গি বিক্রি করছি।

পাইকারি ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে বাঙ্গির ব্যবসা করছেন। এবার ৫-৬ কেজি ওজনের বাঙ্গি ২০০ টাকায় কিনে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। ৩-৪ কেজির বাঙ্গি ১২০ টাকায় কিনে ১৫০-২০০ টাকায় এবং ২-৩ কেজির বাঙ্গি ১০০ টাকায় কিনে ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করছেন। এসব বাঙ্গি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কাওরান বাজার, কুমিল্লা ও দাউদকান্দির বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ১০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গির চাষ হয়েছে, যার বেশিরভাগই ভেলানগর মাঠে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাবিহ উল্লাহ জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার পোকামাকড়ের আক্রমণ কম ছিল। স্থানীয় জাতের বীজ ও জৈব সার ব্যবহারের কারণে বাঙ্গির আকার তুলনামূলক বড় হয়েছে। কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক তদারকি করেছে।