‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান’ শীর্ষক স্লোগানে ১০৫ দফা উন্নয়ন প্রতিশ্রুতির ইশতেহার ঘোষণা লিটনের

প্রকাশিত: ৮:০৩ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২৩

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান’ শীর্ষক স্লোগানে ১০৫ দফা উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি সম্বলিত নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
শনিবার (৩ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মেয়র হিসেবে আপনারা আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর মানুষের উন্নয়নের জন্য প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। এই নগরীর সমৃদ্ধির জন্য শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নগরীর সড়ক বর্ধিতকরণ, সৌন্দর্যবর্ধন, নাগরিক পরিসেবা নিশ্চিতকরণ, পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নসহ শিক্ষা, চিকিৎসা, অনগ্রসর জনসমষ্টির জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, নতুন নতুন স্থাপনা প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত করা-ইত্যাদি কার্যক্রমে সুশাসন নিশ্চিত করে আপনাদের অধিকতর সেবা প্রদানে সর্বদা সচেষ্ট থেকেছি। এবার আমার ঘোষণা ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান’।


তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। এমডিজি, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পর এবার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছে। ফলে দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। আমার স্বপ্ন আমার জন্মশহর রাজশাহী ও এই শহরের মানুষকে নিয়ে। এই শহরে নাগরিক সুবিধা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি আমার লক্ষ্য ও অঙ্গীকার। উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুশাসনসমৃদ্ধ একটি মহানগর গড়ে তোলা আমার স্বপ্ন।

যে ১০ খাতে তিনি উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছেন সেগুলো হলো ব্যাপক কর্মসংস্থান ও সিটি করপোরেশনের আয়তন ৯৬ বর্গকিলোমিটার থেকে ৩৫০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করে শহরের পাশে পদ্মার চরে রিভারসিটি নির্মাণ; দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে নগরীতে পূর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, ব্রিটিশ বা আমেরিকান কারিকুলামে ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন, দুইটি সরকারি হাইস্কুল, এইচএসসি স্তরের গার্লস ক্যাডেট কলেজ, পূর্ণাঙ্গ কারিগরি ইন্সটিটিউট, ললিতকলা একাডেমী এবং আর্কাইভ, আর্ট গ্যালারি ও সিটি মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা; স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলাসহ ১৮ খাতে সেবা প্রদান নিশ্চিত করা হবে; শিল্প-ব্যবসা বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়নে যোগাযোগ সহজ করা হবে; সোনামসজিদ-রাজশাহী-বনপাড়া-হাটিকুমরুল সড়ক ৪ লেনে উন্নীত, রাজশাহী-চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেন চালু এবং রাজশাহী-আব্দুলপুর রেলপথ ডুয়েল গেজে উন্নীত; রাজশাহী-খুলনা-মোংলা-পোর্ট পর্যন্ত আরেকটি আন্তঃনগর যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন চালু, রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন, বিমান এবং সরাসরি বাস সার্ভিস চালুসহ ২৯ দফা উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার ও মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রামাণিকসহ আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।