এক সপ্তাহে পাসপোর্ট দেওয়ার নীতিমালা তৈরিতে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত: ৮:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আনুষ্ঠানিকতার নামে হয়রানি বন্ধ করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনের ভিত্তিতে এক সপ্তাহের (সাতদিন) মধ্যে পাসপোর্ট ইস্যু করার নীতিমালা তৈরির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে সারাদেশে পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম বিষয়ে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করা কেন অবৈধ হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এছাড়া পাসপোর্ট ইস্যু করার প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে নীতিমালা তৈরির নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।


বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান কে এম আবু হানিফ হৃদয়ের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। আজ বুধবার (২১ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হয়। এসময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার ও অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম। শুনানি শেষে ইয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট রিট শুনানি মুলতবি করেছেন। পরবর্তীসময়ে শুনানি নিয়ে আদেশ দেবেন আদালত।

পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে এ রিটটি করা হয়। এরমধ্যে একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছকে বাঁধা দুর্নীতির চরকি ঘুরছে পাসপোর্ট অফিসে। যেন লাগাম টানার কেউ নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একদিকে কড়াকড়ি করলে অন্যদিকে খুলে দেওয়া হয় ঘুষের নতুন পথ।


প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এভাবে বেশিরভাগ পাসপোর্ট অফিসে রমরমা ঘুষ বাণিজ্য এখনো বহাল। কথিত ‘চ্যানেল মাস্টারের’ মাধ্যমে অধিকাংশ পাসপোর্ট অফিসে প্রতিদিন ঘুষ তোলা হয়। ঘুষের অঙ্কের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। কমপক্ষে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ ওঠে হাতে হাতে। ঘুষের সদরদপ্তর হিসেবে পরিচিত কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিস। দিনে এখানে ঘুষ ওঠে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা।