একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার : স্পিকার

প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, টেকসই পৃথিবী নির্মাণে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে। বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজিকে বিবেচনায় নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) জাতিসংঘ বাংলাদেশ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জাতিসংঘ দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত ইউনাইটেড ন্যাশনস নলেজ ফেয়ার শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতকরণ এবং লিঙ্গ সহায়ক বাজেট প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করেছেন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বিশুদ্ধ পানীয় জল ব্যবস্থাপনা এবং শতভাগ স্যানিটেশনে সরকার বিভিন্ন নীতি ও পরিকল্পনা নিয়েছে।

তিনি বলেন, সবার জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। সবার শক্তিশালী অংশীদারত্ব এবং সামাজিক সহযোগিতার মাধ্যমেই বাংলাদেশের সাফল্য নিশ্চিত হবে।

এ সময় স্পিকার ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বর্ধিত সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে কাজ করছে এবং ইতোমধ্যে প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে। এ সময় তিনি কোভিডসহ বিভিন্ন সংকটের ফলে যেসব এসডিজি সূচকে বিলম্ব হচ্ছে, সেখানে জাতিসংঘ-বাংলাদেশ যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

জাতিসংঘ নলেজ ফেয়ারে জাতিসংঘ বাংলাদেশের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস স্বাগত বক্তব্য দেন।

পরে উইমেন্স লিডারশিপ: ফস্টারিং চেঞ্জ ইন ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ, ক্লাইমেট চেঞ্জ ইমপ্যাক্ট অন ম্যানেজিং ফুড সিকিউরিটি, পার্টনারশিপ ফর হিউম্যান ডেভলপমেন্ট এবং এন্সিউরিং ক্লাইমেট রিসিলেন্স অ্যান্ড হিউম্যানেটারিয়ান অ্যাকশন ইন বাংলাদেশ বিষয়ে চারটি প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হয়।