সাইফুল ইসলাম:

রাজধানীর তেজগাঁও রেল স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে লাগানো আগুনে পুড়ে মা ও তার কোলের শিশুপুত্রসহ ৪ জনের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই এবার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রেলওয়ে পুলিশের ধারণা, এটি কোনো নাশকতা নয়। আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। আজ বুধবার রাতে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, ইঞ্জিনের সাইলেন্সার পাইপের ওপরে চটের বস্তা রাখা ছিল। সেটির কারণে সাইলেন্সার পাইপের ধোঁয়া বের হতে পারছিল না। হঠাৎ করে ওই চটের বস্তায় আগুন দেখা যায়। বিষয়টি টের পেয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড় করিয়ে আগুন নেভানো হয়। পরবর্তীতে ট্রেনটি আবার গন্তব্যে ছেড়ে যায়।

রেলওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এটা আমাদের কাছে নাশকতা মনে হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিনের সাইলেন্সার পাইপ থেকে নির্গত ধোঁয়া চটের বস্তায় বাধাগ্রস্ত হয়ে আগুন লেগেছে। এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা মনে হচ্ছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে ৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই রেলের যাত্রী ছিলেন। নাশকতার শিকার মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি গত সোমবার রাতে যাত্রী নিয়ে নেত্রকোনা থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এটি বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন হয়ে তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছার আগেই চলন্ত ট্রেনটিতে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে ৩টি বগিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫টা ২৫ মিনিটে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে সকাল পৌনে ৭টায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।