ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যেভাবে বাঁচায় ফুসফুসকে

প্রকাশিত: ১২:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২৪

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ 

শীতে বাতাসে দূষণের পরিমাণ বেড়ে যায়। অন্যদিকে এ সময় শ্বাসকষ্টজনিত নানা সমস্যাও বাড়ে। একই সঙ্গে অনেক মানুষের আবার আছে ধূমপানের নেশা।

যা ফুসফুসের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে একটি নির্দিষ্ট খাবারের গুণেই সেই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। আর তা হলো ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।

আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডই বাঁচাতে পারে ফুসফুসকে। সম্প্রতি ফুসফুসের একটি জটিল রোগ পালমোনারি ফাইব্রোসিস নিয়ে গবেষণা করেন ভার্জিনিয়া স্কুল অব মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জন কিম।

ওই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফুসফুসের বেহাল দশা অনেকটাই সামাল দিতে পারে এই বিশেষ ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড। তবে এই পালমোনারি ফাইব্রোসিস আসলে কী? কেনই বা এই রোগ হয়? চলুন তা জেনে নেওয়া যাক-

পালমোনারি ফাইব্রোসিসের কেন হয়?

আসলে আমাদের ফুসফুসের ভেতরে অসংখ্য ছোট ছোট বায়ুথলি থাকে। সেগুলোকে অ্যালভিওলি বলা হয়। এগুলোর মধ্যে অনবরত অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড দেওয়া নেওয়া চলতে থাকে।

অ্যালভিওলির মাঝে মাঝে থাকে একটি বিশেষ যোগাযোগের পথ। যাকে বিজ্ঞান ক্যাপিলারি নেটওয়ার্ক বলে। পালমোনারি ফাইব্রোসিসে এই যোগাযোগের অঞ্চলগুলি নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় অ্যালভিওলি।

এর ফলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড আদান প্রদান ঠিকমতো হয় না। পালমোনারি ফাইব্রোসিসের মূল কারণ ধূমপান। এছাড়া কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ অর্থাৎ হার্টের সমস্যা থাকলেও এই রোগের ঝুঁকি আছে।

কী বলছেন গবেষক?

এই গবেষণার অন্যতম প্রধান গবেষক ও চিকিৎসক জন কিম জানান রক্তে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ যত বাড়ে, ততই এই রোগের ঝুঁকি কমে।

সাধারণত এই রোগ হলে দ্রুত ফুসফুস প্রতিস্থাপন করতে হয়। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কল্যাণে তার আর দরকার হয় না। প্রতিস্থাপন ছাড়াই রোগী বেশিদিন বাঁচতে পারেন।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কেন উপকারী?

সাধারণত সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যালমন, ডিম, আখরোট, সোয়াবিন, বাদামের মধ্যে এই বিশেষ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই ফ্যাটি অ্যাসিড বিশেষ কাজ দেয়।

তবে বর্তমান গবেষণা বলছে ফুসফুসের জটিল রোগ সারাতেও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বিশেষ অবদান রাখে।

তবে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড কীভাবে ফুসফুস ভাল রাখে, তা এখনও জানা যায়নি। এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন গবেষক।