ওরা ১১ জন…

প্রকাশিত: ৫:৪০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩

এসএম দেলোয়ার হোসেন:
ওরা ১১ জন…, ওরা সংঘবদ্ধ, ওরা ছিনতাই-টানাপার্টি চক্রের সক্রিয় সদস্য। ওরা সাধারণ যাত্রী ও পথচারী বেশে ওঁৎ পেতে থাকতো রাজধানীর ব্যস্ততম মার্কেট, বাসস্ট্যান্ড, ট্রেন স্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে। ওদের টার্গেট যাত্রী বা পথচারীর হাতে থাকা মূল্যবান টাচ মোবাইল সেটের দিকে। টার্গেটকৃত ব্যক্তির দিকে শকুনের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে সুযোগবুঝে মোবাইল ফোন চুরি করে ছোঁ মেরে ভোঁ দৌড় দিতো ওরা। এরপর চুরি করা বা ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল সেটের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে ক্রয়-বিক্রয় করতো। এমনই একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। ওদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নামিদামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চুরি বা ছিনতাই করা ৮০টি চোরাই মোবাইল সেট। এরা হলো- মো. দিপু, মো. সুজন, মো. লাম ইসলাম, মো. সোহেল রানা, মো. শাহিরুল ইসলাম, মো. রায়হান, মো. ইমরান নাজির, মো. জাহাঙ্গীর আলাম, শেখ মো. বাবু, মো. সুমন শেখ ও মো. মোশারফ। আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবি প্রধান বলেন, আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে গোপন সংবাদে ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম ইনচার্জ এডিসি আশরাফউল্লাহ’র নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর ও গাজীপুর জেলায় অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এসময় সংঘবদ্ধ মোবাইল চোর, আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন ও ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সক্রিয় ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করে। তখন তাদের হেফাজত থেকে নামিদামি বিভিন্ন মডেলের ৮০টি চোরাই মোবাইল ফোন, ১টি ল্যাপটপ, ১টি ডেক্সটপ, আইএমইআই কাটায় ব্যবহৃত ৩টি ডিভাইস, ১৫টি সিম কার্ড ও ১১টি মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়।


অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতারকৃতরা মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত। তারা জনসমাগমস্থল, লঞ্চ-বাস টার্মিনাল, বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, মার্কেট থেকে নানান কৌশলে যাত্রী-পথচারীর মোবাইল ফোন চুরি করে ছোঁ মেরে ভোঁ দৌড় দেয়। পরে মোবাইল ফোনগুলোর আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে মার্কেটে বিক্রি করে। মোবাইল ফোন লক খোলার ক্ষেত্রে এ চক্রের সদস্য মো. সুজন ও মো. লাম ইসলামের সহায়তা গ্রহণ করতো। গ্রেফতারকৃতদের তুরাগ থানায় দায়েরকৃত মামলায় আজ দুপুরের দিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডিবি প্রধান।