রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর চাইনিজের সামনে র্যাব-৪ এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) এগারোটার পর। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই র্যাব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেন। র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় আরও ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাগর দিপা বিশ্বাস, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান।
এসময় দেখা যায়, চলাচলে বিধিনিষেধ থাকলেও কঠোর লকডাউন অমান্য করে অনেকে রাস্তায় বের হচ্ছেন। নানা অজুহাতে অনেকেই বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছেন। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন। অনেকে আবার মাস্ক ছাড়াই বাইরে ঘোরাফেরা করছেন।
লকডাউনে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন
প্রাইভেট কার থেকে গ্লাস খুলে র্যাব কর্মকর্তাদের পঞ্চাশোর্ধ্ব এক নারী জানালেন, যাচ্ছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। সঙ্গে রয়েছে তার মেয়ে। র্যাব কর্মকর্তাদের পাল্টা প্রশ্ন- আজ লকডাউন শুরু আপনি কেন বাইরে বের হয়েছেন? জবাব, আজ যাচ্ছি আর বের হবো না। ভুল হয়েছে এবারের মত ক্ষমা চাই। র্যাব কর্মকর্তারা সিনিয়র সিটিজেন’র কারণে সম্মান দেখিয়ে কোনও মামলা না দিয়েই ছেড়ে দেন। আর বাইরে বের হবেন না বলেও ওই নারী র্যাব কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, নির্দেশ অমান্য করে চলাফেরা করা এবং পরিচয় দিয়ে যুক্তিযুক্ত পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় অভিযোগে সুজন মিয়া নামে একজনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া যারা যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে পারছে না তাদের বিরুদ্ধে সংক্রামক নিরোধ আইনে মামলা করছি।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন আমরা মাঠে রয়েছি। আমরা জনগণকে বোঝাচ্ছি। নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনের নিরাপত্তার জন্য ঘরে থাকতে হবে। রাস্তায় বের হয়েছেন তারা কোনও না কোনও অজুহাতে বের হয়েছেন। যারা মাস্ক পরেননি তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে মাস্ক দিয়েছি। যারা অমান্য করে রাস্তায় বের হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা করে জনগণকে সচেতন করা সম্ভব নয়, যদি না জনগণ নিজে থেকে সচেতন হয়।