এবার এক ইরানি কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন শনিবার এমন তথ্য জানিয়েছে।
মুরতজা রহমান জাদেহ নামের ওই ব্যক্তি রাজধানী তেহরানের ১৩ নম্বর জেলার মেয়র। শুক্রবার তার শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।- খবর আল-আরাবিয়াহর
এদিকে ইরানের বেশ কয়েকটি শহরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এমন তথ্য জানিয়েছেন।
পবিত্র শহর কুয়াম থেকে শুরু হওয়া এই মহামারীতে এখন পর্যন্ত দুজন মারা গেছেন। নতুন ১৩ জনের শরীরে এই ভাইরাস ধরা পড়েছে। এ নিয়ে মোট ১৮ ইরানি চীনের উহানউদ্ভূত এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন।- খবর রয়টার্সের
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মিনোও মোহরেজ বলেন, চলমান প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বলা যায়, কুয়াম থেকেই ভাইরাসটির বিস্তার ঘটছে। আর লোকজনের ভ্রমণের সঙ্গে তা বেশ কয়েকটি শহরে ছড়িয়েছে। যার মধ্যে তেহরান, বাবোল, আরাক, ইসফাহান ও রাশত রয়েছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির সব শহরেই ভাইরাসটির অস্তিত্বের বিষয়টি অসম্ভব কিছু না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তবে আক্রান্তের অধিকাংশই কুয়াম শহরের। রাজধানী তেহরান থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে এটির অবস্থিত।
নতুন করোনাভাইরাসটিতে কুয়ামে সাত, রাজধানী তেহরানে চার ও গিলান প্রদেশে দুই ইরানি আক্রান্ত হয়েছেন। এক টুইটবার্তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কিয়ানুশ জাহান এমন তথ্যই দিয়েছেন।
এদিকে কুয়ামে সব ধরনের ধর্মীয় সমাবেশ বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
মোহরেজ বলেন, শহরগুলোতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে; এটা পরিষ্কার। কুয়ামে কাজ করা চীনা শ্রমিকরাই এই বিস্তারের মূল উৎস হতে পারেন। তারা নিয়মিত চীন ভ্রমণ করেন।
কয়েক দফা ধারাবাহিক সংকটের পর পার্লামেন্টারি নির্বাচনকে ইরানি কর্তৃপক্ষের প্রতি জনগণের গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঠিক ভোটগ্রহণের দিনেই ভাইরাস প্রার্দুভাবের এই খবর এসেছে।
শুক্রবার মাস্ক পরে কর্মকর্তাদের ভোটগ্রহণ করতে দেখা গেছে। করোনাভাইরাস মহামারীর থেকে সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ইরানে ফ্লাইট বাতিল করেছে প্রতিবেশী ইরাক।
ইরানে করোনাভাইরাস সংক্রমণকে কষ্টকর বলে আখ্যায়িত করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা।