করোনাভাইরাসের পরিবর্তে বিএনপি বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েই উদ্বিগ্ন : তথ্যমন্ত্রী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জনগণের স্বাস্থ্য নয়, বিএনপি করোনভাইরাসের পরিবর্তে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েই বেশি উদ্বিগ্ন।
সোমবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সস্টিটিউটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘সমগ্র পৃথিবীর মানুষ এখন করোনাভাইরাস নিয়ে চিন্তিত। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যে প্রতিকার ও শনাক্তকরণ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তার মাধ্যমে তিন জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত প্রক্রিয়াধীন অন্যদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি’র বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা করোনাভাইরাস নিয়ে শঙ্কিত নয়, বরং উদ্বিগ্ন খালেদা জিয়াকে নিয়ে। কারণ, তাদের মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি চিন্তা দেখতে পাচ্ছি। দেশের মানুষ যেটা নিয়ে চিন্তিত সেটা নিয়ে বিএনপি মোটেও চিন্তিত নয়। এটি তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে মনে হচ্ছে। ’
তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, যদি জনগণের রাজনীতি করতে চান, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি চিন্তা না করে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবুন’।’
মুজিববর্ষে বিএনপি’র রাজনীতি কেমন হওয়া উচিত-এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, মুজিববর্ষে হিংসা ও বিদ্বেষের নিরসন হওয়া প্রয়োজন। খালেদা জিয়া হিংসার রাজনীতি করেন। তার জন্ম তারিখ পাল্টে, যেদিন জাতির পিতাকে হত্য করা হয়েছিলো সেদিন ভুয়া জন্মদিন পালন করেছেন, নিজে কেক কেটেছেন। তার সরকার যখন ক্ষমতায়, তখন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যার জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তার বড় ছেলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গ্রেনেড হামলা হয়েছিলো। যারা ঘৃণা ও হিংসার রাজনীতি করে, দেশের মানুষ নিয়ে তারা চিন্তা করে না। ‘
‘করোনা’ বিষয়ে রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষের পদক্ষেপ কেমন হওয়া উচিত সে প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, শুধু করোনা ইস্যু নয় যেকোনো জাতীয় ইস্যুতে দল-মত নির্বিশেষে সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত।
বিমানবন্দরে করোনা স্ক্যানিংয়ে কোনো ঘাটতি রয়েছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকেই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমি চিকিৎসক নই, সে কারণে আমি টেকনিক্যাল উত্তর দিতে পারবো না। আমি যেটুকু জানি, করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ১৫ দিন পর শনাক্ত করা যায়। চীনে এটির উৎপত্তি কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যাদের উন্নত সব প্রস্তুতি ছিল, তারাও করোনাভাইরাস আটকাতে পারেনি। ইতালিতেও করোনাভাইরাসে লোকজন আক্রান্ত হচ্ছে। তারা এতো কিছু প্রস্তুুতি নিয়েও এই ভাইরাস ঠেকাতে পারেনি। সেখানে বাংলাদেশ যতটা ঠেকিয়ে রেখেছে, সেটি অন্য অনেক দেশের চেয়ে ভালো প্রস্তুতির স্বাক্ষর বহন করে।’