কর্ণফুলী টানেলের কাজে দ্রুত গতি: টার্গেট নির্ধারিত সময়ে শেষ করা
এর মাঝে শেষ হয়েছে ৫০ শতাংশ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে চলছে চট্টগ্রামের অন্যতম মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেলের (কর্ণফুলী টানেল) কাজের গতি। এরই মধ্যে প্রকল্পের মোট কাজের প্রায় ৫৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ হবে টানেলের নির্মাণ কাজ। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ যুগে প্রবেশ করছে চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশ।
টানেলের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ চৌধুুরী বলেন, ‘টানেল নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। কাজের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। এ পর্যন্ত প্রকল্পের প্রায় ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) কাজ শেষ করতে পারবে।’ জানা যায়, চট্টগ্রামের অন্যতম মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী টানেলের কাজ প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে দ্রুততায় চলছে। নদীর তলদেশে বিরামহীন চলছে দুই টিউব বসানোর কাজ। এরই মধ্যে নদীর তলদেশে ১২২০ মিটার খনন করা হয়েছে। বসানো হয়েছে ৬১০টি রিং। পূর্ব প্রান্তে ওয়ার্কিং শাফট এবং কার্ট অ্যান্ড কভার, রোটারি জেট গ্রাউটিং এবং ডায়াফ্রাম ওয়ালের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়ক ও ওভারব্রিজ তৈরির কাজও চলছে বিরামহীন। দ্রুততার সঙ্গে চলছে ওপেন কাট, অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণের কাজ। আনোয়ারা প্রান্তে স্থায়ী বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণের কাজসহ সাবস্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পতেঙ্গা অংশে জি-১ এবং জি-২ রোডের কাজও চলছে। সব মিলিয়ে কাজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ নদী চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারা উপজেলাকে বিভক্ত করেছে। এ নদীর এক তীরে রয়েছে নগর ও চট্টগ্রাম বন্দর। অপর পাশে আনোয়ারা উপজেলায় রয়েছে ভারী শিল্প এলাকা। নদীর মরফলজিক্যাল বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীর তলদেশে পলি জমা একটি বড় সমস্যা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যকারিতার জন্য বড় হুমকি। এসব সমস্যা মোকাবিলায় কর্ণফুলী নদীর ওপর আর কোনো সেতু নির্মাণ না করে এর তলদেশে টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকার চট্টগ্রাম জেলার দুই অংশকে সংযুক্ত করার জন্য কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায়। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। যার মধ্যে প্রকল্প ঋণ হিসেবে চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকার অর্থায়ন করছে। বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করবে।