কলকাতা বইমেলা শুরু, ২৮ বছর পর নেই বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১২:১৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

শুরু হয়েছে ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া বইমেলা চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রকাশকরা কলকাতা বইমেলায় অংশ নিলেও এবার কেউ তাতে অংশ নেননি।

মঙ্গলবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জার্মান রাষ্ট্রদূত ফিলিপ আকারমান, সাহিত্যিক আবুল বাশারের উপস্থিতিতে বই মেলার উদ্বোধন করা হয়।

প্রতি বছর বইমেলার আকর্ষণ হিসেবে থাকতো বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি বিশাল প্যাভিলিয়ন। পশ্চিমবঙ্গের পাঠকরাও অপেক্ষা করে থাকেন বাংলাদেশের লেখকদের নতুন নতুন বইয়ের জন্য। এ বছর বাংলাদেশের অংশগ্রহণ না হওয়া নিয়ে আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলারস গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেন, অংশগ্রহণের জন্য একটি দেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করতে হয়, এ বছর বাংলাদেশ তা করেনি। স্বাভাবিকভাবেই আমরা বাংলাদেশের প্রকাশক এবং বই বিক্রেতাদের জন্য জায়গা বরাদ্দ করতে পারিনি।

১৯৭৬ সাল থেকে কলকাতা বইমেলা হচ্ছে। ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কলকাতা শহরের বইমেলার প্রতিটি সংস্করণে স্থান পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে ওই বইমেলায় যোগ দিয়েছিলেন। সেই বছর কলকাতার ওই বইমেলার থিম কান্ট্রি ছিল বাংলাদেশ।

কলকাতা বইমেলায় এ বছরও ২৫ লক্ষ ক্রেতা ও পাঠকের সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশ বিদেশের প্রায় এক হাজার প্রকাশক ও বিক্রেতা মেলায় অংশ নিয়েছেন। এ বছর প্রথম বইমেলার নিজস্ব মাসকট হাসো ও হাসু দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাচ্ছে। দেবী সরস্বতীর বাহন হাসতেই মাসকট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে এবারের বইমলায় মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরকে কোনো স্টল বরাদ্দ হয় নি। এজন্য বিক্ষোভ হয়েছে।

হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে প্রথমে স্টল দেওয়া না হলেও শেষ মুহূর্তে পরিষদের মুখপত্রের নামে স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে। এসব বিতর্ক নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল।

এবারের মেলায় ১২ টি দেশ অংশ নিয়েছে। থিম দেশ জার্মানি। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সলিল চৌধুরী, ঋত্বিক ঘটক, গ্যেটে, ম্যাক্স মুলার প্রমুখের নামে করা হয়েছে প্রবেশ দ্বার।