কলাবাগানে গৃহকর্মী হত্যায় গৃহকর্ত্রী সাথীকে কারাগারে প্রেরণ

প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের একটি বাসায় শিশু গৃহকর্মী হেনা হত্যা মামলায় গ্রেফতার একমাত্র আসামি গৃহকর্ত্রী সাথী পারভীন ডলি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর সাথী স্বেচ্ছায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাকে যশোর থেকে গ্রেফতার করে কলাবাগান থানা পুলিশ।

কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফ্ল্যাট ই-১ এর বাসিন্দা সাথী আক্তার পারভীন তার শিশু সন্তান আর ওই গৃহকর্মী হেনাকে নিয়ে বসবাস করতেন। গত তিন বছর ধরে নিহত গৃহকর্মী হেনা ওই বাসায় কাজ করছিল। কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের ওই বাসায় প্রায়ই হেনাকে নির্যাতন করা হতো বলে ধারণা পুলিশের। গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকালেও হেনাকে নির্যাতন করা হয়। শিশুটি মারা যাওয়ার পর পালিয়ে যান গৃহকর্ত্রী সাথী।


কলাবাগান থানা পুলিশ বলছে, গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর ফোনে গৃহকর্মী হেনার মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পায় তারা। এরপর ওইদিন দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানায় সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনে গিয়ে বেশ কটি বাসায় খোঁজও নেয় পুলিশ। ওই ভবনটিতে ৪৪টি ফ্ল্যাট। মধ্যরাতে সব ফ্ল্যাটে খোঁজ নেওয়া বেগতিক বুঝে ফিরে আসে পুলিশ। পরদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি মালিক সোসাইটির লোকজন নিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলা ই-১ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে গৃহকর্মী হেনার মরদেহ উদ্ধার করে তারা।
প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর গত শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহালে পুলিশ দেখতে পায়, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে ফেনা এবং শরীর ফুলে গেছে হেনার। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। লাশ উদ্ধারের ৩৬ ঘণ্টা পর নির্যাতনে শিশু গৃহকর্মী হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলাটির বাদী এসআই বাবুল হোসেন।