কাশ্মীরে হামলা ভারতের ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ নাটক?

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

 

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্ব সেই ৪৭ এর দেশ ভাগের পর থেকেই। বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর অঞ্চলটি নিয়ে এই দুই দেশের বিরোধ পুরো বিশ্বব্যাপী দৃশ্যমান। সম্প্রতি ভারতের এই অঞ্চলটির পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২৬ জন পর্যটকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এবং আরও ১৭ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করছে ভারত। এই হামলার পিছনে সরাসরি তারা আবার দুষছে চিরশত্রু পাকিস্তানকে।

ইতিহাস বলে ভারতে যে কোন ধরণের হামলার ঘটনা ঘটলেই এর পিছনে বরাবরাই দোষারোপ করা হয় পাকিস্তানকে। শুধু তাই নয়, বলিউডে অসংখ্য সিনেমাও নির্মিত হয় এসব কল্প-কাহিনীর ওপর ভিত্তি করে। কাশ্মীরের ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে দায় দিলেও এর পিছনে দৃশ্যমান কোন প্রমাণ হাজির করতে পারেনি ভারত।

ইতোমধ্যে ভারতের বিপক্ষে আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। তাদের মতে এই হামলা ভারতের ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ এর অংশ। তাদের দাবি পাকিস্তানকে ফাঁসাতে কাশ্মীরে নিজেরাই হামলা চালিয়েছে ভারত। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের পাশাপাশি মুখ খুলেছেন পাকিস্তানি সাবেক এক সংসদ সদস্যও। মুশাহিদ হুসেন সিদ্দিকি নামের পাকিস্তানি সাবেক এই এমপির মতে, ভারতে কোন হামলার ঘটনা ঘটলেই তার তদন্ত করার আগেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করা ভারতের এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

এদিকে পাকিস্তান এই হামলার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। অপরদিকে ইতোমধ্যেই এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেজিস্ট্যান্ট’ নামের একটি গ্রুপ। হামলা চালানোর পিছনে তারা যে যুক্তি দিচ্ছে, তা অনেকটাই হাস্যকরও বটে। হামলার কারণ হিসেবে তারা বলছে, কাশ্মীরে ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষ বাইরে থেকে এসে বসতি স্থাপন করেছে, আর এ কারণে স্থানীয় জনগণের ওপর ‘ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন’ ঘটানো হচ্ছে। এটি প্রতিরোধের জন্যই নাকি তারা পর্যটকদের ওপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।

তবে এই হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভারত- পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক কঠোর পদক্ষেপও নিচ্ছে।