ডেস্ক রিপোর্ট:
ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে এবার জেকে বসেছে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশি প্রসঙ্গ। কেন হাসিনার উড়োজাহাজ ভারতে নামতে দিলেন? নির্বাচনী জনসভায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতে এমন প্রশ্ন তুলে এবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে জবাব চেয়েছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর দু’দফায় অনুষ্ঠিত হবে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটগ্রহণ। নির্বাচনী প্রচারে সম্প্রতি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ইস্যু তুলে ধরে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনী ময়দান গরম করেছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শাহের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান (জেএমএম) তথা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবার উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ। হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র শাহ-মোদি জুটিকে নিশানা করেছেন তিনি।
রোববার ঝাড়খণ্ডের গাড়োয়া বিধানসভায় দলীয় প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এক জনসভায় হেমন্ত প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘কেন হাসিনাকে ভারতে ঠাঁই দেওয়া হলো?’
অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে একযোগে আক্রমণ করে হেমন্ত বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘দ্বৈত’ ভূমিকা নিচ্ছে কেন্দ্র এবং বিজেপি নেতারা। মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় সংবিধানের সামনে মাথা নত করেছিলেন আর বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে। সমাজের সব অংশ সমান অধিকার পাবে। আমি তাঁকে (মোদি) প্রশ্ন করতে চাই, আপনি কি বাংলাদেশের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কোনো ব্যবস্থা করেছেন? আপনি কেন হাসিনার হেলিকপ্টার ভারতে নামতে দিলেন?
তিনি প্রশ্ন করে বলেন, সীমান্ত পাহারা দেওয়া এবং অনুপ্রবেশ আটকানো কি কেন্দ্রের দায়িত্ব নয়? এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনো হাত নেই?
এর আগে ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে এসে শাহ দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের প্রশ্রয়েই অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ঝাড়খণ্ডে বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশকারীদের থেকে জমি কেড়ে নেবে এবং তাঁদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার জন্য কঠোর আইন আনবে।
আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর দু’দফায় অনুষ্ঠিত হবে ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটগ্রহণ। গণনা ২৩ নভেম্বর। আসন্ন নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের শরিকেরা। জেএমএমের সঙ্গে কংগ্রেস, আরজেডি এবং সিপিআইএমএল লিবারেশনের আসনরফা চূড়ান্ত হয়েছে। জেএমএম লড়বে ৪৩, কংগ্রেস ৩০ আসনে। এ ছাড়াও আরজেডি এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন লড়বে যথাক্রমে ৬ এবং ৪ আসনে। তবে ছতরপুর, বিশ্রামপুর এবং ধানওয়ার— এই তিনটি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করবে জোট।