কেন্দ্রে চলে গেলো ভোটের সরঞ্জাম

প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৪

ঢাকার সব কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ভোটের সরঞ্জাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হতে বাকি এখন ‍শুধু ঘণ্টার হিসাব। রাত পোহালেই শুরু হবে ভোট। ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন। ভোটের আগের দিন ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠানো হয় নির্বাচনি সরঞ্জাম। এসব সরঞ্জামের নিরাপত্তায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ভোটের সরঞ্জাম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রে

ব্যালট পেপার বাদে শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ঢাকার আসনগুলোর ভোট কেন্দ্রে পাঠানো হয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র, জামানত বই, রশিদ বই, আচরণ বিধিমালা, প্রতীকের পোস্টারসহ বিভিন্ন ধরনের ফরমসহ প্রায় ২০ রকমের সরঞ্জাম। ঢাকার ১৫টি আসনের ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ করা হয় রাজধানীর ১৫টি পয়েন্ট থেকে। প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার একটি করে টিম পরিবহনসহ কেন্দ্রগুলোতে এসব সরঞ্জাম নিয়ে যান। তারা ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করে সেখানেই রাতে অবস্থান করবেন। ব্যালট পেপার কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাবে রবিবার (৭ জানুয়ারি) ভোরে।

ভোটের সরঞ্জাম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে
এবার ঢাকা মহনগরীর ১৫টি সংসদীয় আসনে ভোটযুদ্ধে লড়বেন ১২৬ জন প্রার্থী। প্রায় ৩ হাজার কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট থাকবে ৩৭ হাজার ৭৯৩ জন।

রাজধানীর ১৫টি পয়েন্ট থেকে বিতরণ করা হয়েছে ভোটের সরঞ্জাম

উল্লেখ্য, এবার জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯ আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।

ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ

২৯৯টি সংসদীয় আসনে ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে আছেন ৪৩৬ জন।

ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ

সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৮৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৯ হাজার ৭৪১ এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৯৯ জন। এছাড়া সারা দেশে এবার তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার আছেন ৮৪৯ জন।

ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ

সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য স্থাপনায় মোট ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি।


ভোটের নিরাপত্তা রক্ষায় মাঠ পর্যায়ে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার-ভিডিপি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৮ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ভোট গ্রহণের কাজে ৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও স্ট্যান্ডবাই থাকবেন ১ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী। ৩ হাজার ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারক মাঠে থাকছেন। তারা যেকোনও অপরাধে তাৎক্ষণিক শাস্তি দিতে পারবেন।

ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ

এবার ভোটে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ৬৬ জন দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে দুইজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন জেলা প্রশাসক।