ক্রীড়া সংগঠকদের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব: ক্রীড়া উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ১২:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪

ক্রীড়া ডেস্ক:

ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক উন্নয়নে ক্রীড়া সংগঠক, খেলোয়াড়, কোচ রেফারিসহ ফেডারেশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল বিকালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মিলনায়তনে সবার সঙ্গে মতবিনিয়ম অনুষ্ঠানে বসে বিরক্ত হয়ে গিয়েছেন তিনি। ক্রীড়া সংগঠকের আচরণে আসিফ বলতে বাধ্য হয়েছেন খেলাধুলা হচ্ছে শৃঙ্খলার জায়গা। তিনি তার ছোটবেলার কথা তুলে এনে বলেন, ‘আমি ছোটবেলায় টিচারের কাছে স্পোর্টস ডিসিপ্লিন শিখেছি। আপনাদের মধ্যে ডিসিপ্লিনের যথেষ্ট অভাব দেখছি।’
অন্যদিকে আমন্ত্রণে আসা অনেকের মতে, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে আমাদেরকে ডেকেছে কিন্তু কথা বলতে দেয়নি, সবার কথা শোনা উচিত ছিল। মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা ছিল না।’ সংগঠকরা কথা বলবেন, কিন্তু কে কার আগে কথা বলবেন তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। কে মাইক পেলেন, আর পেলেন না, কথা বলতে পারলেন না। তা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। মাইক নিয়ে কাড়াকাড়ি। সবাই কথা বলতে চান। সবার কথা শোনার আগ্রহ আছে কি না উপদেষ্টার-সেটা ভাবার প্রয়োজন মনে করছেন না।
তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা বলেন, ‘অনেকেই দুর্নীতির কথা বলছিলেন। অনিয়মের কথা তুলছিলেন। আমার কথা হচ্ছে- কে কোথায় কী করেছে, সবই জানা হয়ে গেছে উপদেষ্টার। উনি নতুন কিছু জানতে এসেছিলেন। গঠনমূলক কথা শুনতে এসেছিলেন। ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র কীভাবে সাজালে সঠিক ভাবে কাজ করা যাবে। কিন্তু সেগুলো শুনতে এসে বিরক্ত হয়ে গেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।’

রানা বললেন, ‘ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল তারা নাম বলবে বক্তব্য দেবে। তাহলে বিশৃঙ্খলা হতো না।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, ‘কোনো ক্রীড়া সংস্থাতে দুই টার্মের বেশি একই পদে কেউ থাকতে পারবে না। আর প্রতি বছর ক্রীড়া সংস্থাকে আয়-ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে হবে। প্রগ্রেস রিপোর্ট দিতে হবে। সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে সর্বস্তরের জবাবদিহিতা।’

ক্রীড়া উপদেষ্টা যোগ করেছেন, যদি কেউ ভালো করে সে অন্য যে কোনো পদে থেকেও কাজ করতে পারবে। তিনি বলেন, ‘থাকুক ৪০ বছর, তার রেজাল্ট কী। কেউ যদি ৪০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেন রেজাল্ট দেখাতে হবে তো।’ এসব পরিকল্পনা নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ফেডারেশনগুলোর গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করবে।