মো. সাইফুল ইসলাম:
ক্রেডিট কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলো সংঘবদ্ধ একটি চক্র। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা সেই চক্রের সক্রিয় তিন সদস্য অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। এরা হলেন- মো. সজল হাওলাদার (২৭), মো. সাইফুল ইসলাম (৩৭), আবুল হোসেন (৬৫)। আজ রোববার (১১ জুন) বিকেলে নিউজ পোস্ট বিডিকে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত কবির সোয়েব।
তিনি জানান, গতকাল শনিবার (১০ জুন) গোপন সংবাদে রাজধানীর শ্যামপুরের আইজি গেট এলাকায় অভিযান চালায় র্যাব-১০ এর একটি দল। এসময় ক্রেডিট কার্ড করার নামে অর্থ আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব কর্মকর্তা এনায়েত কবির সোয়েব নিউজ পোস্ট বিডিকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গ্রেফতার আসামিরা উক্ত ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। তারা ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড, লোন করিয়ে দেওয়ার নামে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র নিয়ে ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে গ্রাহকদের না দিয়ে নিজেরাই টাকা তুলে নিতেন।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার আসামি মো. সজল হাওলাদার (২৭) প্রতারক চক্রের মূল হোতা। তিনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্রেডিট কার্ড করে অনুপ্রেরণা দিতেন। ব্যবসায়ীরা ক্রেডিট কার্ড নিতে সম্মত হলে সজল তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এন আই ডি কার্ড, মোবাইল নম্বর, ট্রেড লাইসেন্সসহ খরচ বাবদ বিভিন্ন অংকের টাকা নিতেন। পরে সজল ও তার সহযোগীরা ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে গ্রাহকদের না দিয়ে নিজেরাই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তলন করে নিতেন। এছাড়া তারা বিভিন্ন ব্যাংক ও সমিতি থেকে লোন করে দেওয়ার জন্য খরচ বাবদ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। এছাড়া বিদেশে লোক পাঠানোর নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এদিকে গ্রেফতার আসামি সাইফুল (৩৭) সজলের প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। তিনি নিজেকে ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডের কাগজপত্রে সইগুলো গ্রহণ করতেন। পরে ক্রেডিট কার্ড সংগ্রহ করে গ্রাহকদের পৌঁছে না দিয়ে কৌশলে সম্পূর্ণ টাকা নিজেরা গ্রহণ করতেন। গ্রেফতার আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত কবির সোয়েব।