নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালীসহ ৩ জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নুরুল হুদা চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রিমান্ড যাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- মো. রিয়াজ হোসেন এবং মো. উজ্জল মিয়া। আজ বিকেলে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর এশারত আলী।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই অনিক ভক্ত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, শাকিল আহমেদ রিপনসহ আরও অনেকেই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এর বিরোধিতা করেন। এ সময় উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরি তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকা থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালীকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন বুধবার (২২ নভেম্বর) তার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির না হওয়ায় তা পিছিয়ে ২৬ নভেম্বর ধার্য করা হয়।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ২৯ অক্টোবর বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সরকারি ও জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে তাদের নেতাকর্মীরা পরিস্থান পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। বাসে থাকা যাত্রীরা দিগবেদিক ছোটাছুটি করতে থাকেন। বাসের যাত্রী, পথচারী ও স্থানীয় লোকজন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের আটক করার জন্য ধাওয়া করলে তারা বিভিন্ন অলিগলিতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আসামিরা নাশকতা সৃষ্টিসহ পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার লক্ষ্যে সরকারি, জনগণের সম্পদ ধ্বংস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।
আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ বিএনপি ও নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তার অঙ্গ সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক, সংগঠক ও সক্রিয় সদস্য মর্মে জানা যায়। রাষ্ট্রের শান্তি-শৃঙ্খলা বানচাল করার লক্ষ্যে জনসাধারণের সম্পদ ক্ষতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ও যানবাহনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য নাশকতার পরিকল্পনা করেছে তারা।