জেলা প্রতিনিধি,নীলফামারীঃ
বিরিয়ানির স্বাদ আর ঐতিহ্য নিয়ে গল্পের শেষ নেই। তবে নীলফামারীতে বিরিয়ানির দোকানগুলোতে ভিড়ছে না ক্রেতা। অতিরিক্ত গরম ও ঈদের ছুটি থাকায় ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে দোকানগুলো। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের বিরিয়ানিসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবারের মাইকিং করে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন মোড় থেকে শুরু করে অলি-গলি পর্যন্ত বিরিয়ানির দোকান গড়ে উঠেছে। অধিকাংশ বিরিয়ানির দোকান খোলা থাকলেও নেই ক্রেতা। রমজানেও বিরিয়ানি বিক্রি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ঈদের পর গরমে বিরিয়ানির দোকানগুলোতে আর যাচ্ছে না ক্রেতা।এসব দোকানে বিরিয়ানির পাশাপাশি তেহেরি, শাহী মোরগ পোলাও, রোস্ট পোলাও, লাচ্ছি, বোরহানি, ডিম পোলাও, স্পেশাল ভুনা খিচুড়িও পাওয়া যায় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নীলফামারী পৌর সুপার মার্কেটের পাশে ঢাকা বিরিয়ানি হাউজ, রাজধানী বিরিয়ানি হাউজ, গাছবাড়ীতে ফ্রেন্ডস্ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট, সবুজপাড়া অবদারমোড়ে নীলফামারী ক্লিনিকের পাশে মুসলিম বিরিয়ানি হাউজ, মাদারমোড় এলাকায় শাহী বিরিয়ানি হাউজ, রহমতুল্লাহ বিরিয়ানি হাউজ ছাড়াও বিভিন্ন মোড়ে গড়ে উঠেছে দোকান। এসব দোকানে নানা স্বাদের ও নামের বিরিয়ানি পাওয়া যাচ্ছে।
ফ্রেন্ডস্ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক বিরেজ সরকার বলেন, আমাদের এখানে কাচ্চি বিরিয়ানিসহ মুরগির মাংস, চুইঝাঁল দিয়ে হাসের মাংস, খাসির মাংস, রুই মাছ, বাটা মাছ, শিং মাছ, চিংড়িসহ সব ধরনের খাবার রাখি। ঈদের পর এখনো বেচাকেনা ভালোভাবে শুরু হয়নি। আশা করছি আবহাওয়া ভালো হলে গ্রাহক বাড়বে।
রাজধানী বিরিয়ানি হাউজের মালিক মুহিদ্দিস সিকদার জানান, ২০ রমজানের পর ভালো ব্যবসা করেছি। ঈদের পর ব্যবসা কম হচ্ছে। বর্তমান গরমের কারণে দুপুরে ক্রেতা খুব কম আসছে। এরপরও আলহামদুল্লিাহ।মুসলিম বিরিয়ানি হাউজের মালিক সাজ্জাদুল করিম সাজু বলেন, ঈদের আগে বেচাকেনা ভালো চলছিল। ঈদের পর বেচাকেনা কম হওয়া ও দোকান বন্ধ থাকায় মাইকিং করে আবার প্রচার করছি। আমাদের মুসলিম বিরিয়ানি হাউজ ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে।