গরমে প্রাথমিক চিকিৎসায় স্কুলে স্কুলে কুইক রেসপন্স টিম
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রমজান, ঈদুল ফিতর এবং দাবদাহের কারণে দেওয়া এক সপ্তাহের ছুটি মিলিয়ে এক মাস তিন দিন পর খুললো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এমন এক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে, যখন দেশের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের ইতিহাসে তাপমাত্রার ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্কুলের বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে ডাক্তার ও নার্সসহ কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া, প্রতিটি ক্লাসে পর্যাপ্ত পানি ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর প্রথম সারির কয়েকটি স্কুল প্রধান ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। স্কুল খুললেও উপস্থিতি কিছুটা কমেছে বলেও জানিয়েছেন তারা।মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান শেখ ঢাকা পোস্টকে বলেন, মর্নিং শিফটে প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। ডে শিফটে ৬৫-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। এ সময়ে কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে না এলেও তাকে কোনো চাপ দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, স্কুলে নার্স, শিক্ষক ও কর্মচারীর সমন্বয়ের একটি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করেছি। তারা প্রতিটি ফ্লোর ও ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া, আমরা সিনিয়র শিক্ষকরা সিসিটিভির মাধ্যমে ক্লাসগুলো মনিটরিং করছি।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, দুপুর পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাইনি। তারপরও যদি কোনো শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়, তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ডাক্তার ও নার্স রাখা হয়েছে।তিনি বলেন, এছাড়া, স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে একটি টিম কাজ করছে। তারাও সারাক্ষণ ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে।রাজধানীর আরও তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তীব্র গরমের কারণে ঈদের ছুটির পর আরও এক সপ্তাহ ছুটি শেষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হয়েছে আজ রোববার থেকে। সকাল থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এজন্য কিছু নির্দেশনা মানতে হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের। যদিও এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।
রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম চলেছে। এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোতে সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়ে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে।