তৌফিক সুলতান:
গর্ভাবস্থায় সতর্ক থাকতে হয় অনেক বেশি। অবশ্যই ভালো ডাক্তারের শরণাপন্ন থাকা উচিত। যেন যে কোনো সিচুয়েশনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। আপনার খাওয়া এবং পান করার অভ্যাস, সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সক্রিয়তার মাত্রা অনাগত সন্তানের বৃদ্ধি ও বিকাশের ওপর প্রভাব ফেলে। একজন গর্ভবতীকে কীভাবে সর্বদা সুখী থাকতে হবে এবং হতাশাগ্রস্ত না হতে হবে। সে সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই পরামর্শ পেয়েছেন। কেন এই পরামর্শ তার কারণ থাকতে পারে। অ্যাসোসিয়েশন ফর সাইকোলজিকাল সায়েন্স দ্বারা পরিচালিত গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে, মায়ের আবেগ ছয় মাস বা তার বেশি বয়সী ভ্রূণের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। গর্ভাবস্থায় আপনি কীরকম অনুভব করছেন, তা বাচ্চার বড় হওয়ার সাথে সাথে মনোভাব এবং জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
ভ্রূণের ওপর কী পরিমাণ প্রভাব পড়বে, সে সম্পর্কে কোনো চূড়ান্ত ধারণা করা যায় না। তবে গর্ভবতী থাকাকালীন বেশি না কাঁদাই উচিত তা বোঝানোর জন্য এটি একটি যথেষ্ট কারণ। আরও দেখা গেছে যে, গর্ভবতীদের নির্দিষ্ট সময়ে অন্যদের তুলনায় বেশি কাঁদার প্রবণতা থাকে। প্রচুর নারী গর্ভাবস্থার প্রথম এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকের সময় কাঁদতে থাকেন।
>> কান্নার কারণগুলো
যদি একটি টুপি পড়ে গেলেও কান্নায় ফেটে পড়েন, তবে মনে করবেন না যে আপনার মধ্যে কিছু ত্রুটি রয়েছে। প্রচুর গর্ভবতী একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যান এবং অবশ্যই একা নন। গর্ভবতী অবস্থায় নারীদের যে কান্নাকাটি করার সম্ভাবনা বেশি তার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে শারীরিক ও মানসিক কারণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখানে কয়েকটি দেওয়া হলো:
স্ট্রেস
আপনি গর্ভাবস্থায় যত ভালোভাবেই ঠিক করুন না কেন বা পরিকল্পনা করুন না কেন তা নির্বিশেষে–স্ট্রেস যখন তখন উঁকি দেবেই। আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, অনাগত সন্তানের সুস্বাস্থ্যের প্রতি উদ্বেগ, ডাক্তারের সাথে দেখা এবং চিকিৎসাগত পরীক্ষা, চাকরি সম্পর্কিত উত্থান-পতন, পারিবারিক সম্পর্ক, বড় বাচ্চারা ইত্যাদি সবকিছু গর্ভাবস্থায় স্ট্রেস তৈরি করতে পারে।
হরমোন ওঠানামা
তিনটি হরমোন—ইস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন (এইচসিজি) দেহে তৈরি হয়। এই হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন হলে মস্তিস্কে বিভিন্ন সংকেত পাঠাতে পারে। যা গর্ভবতীর মেজাজে প্রভাব ফেলতে পারে। এগুলো গর্ভাবস্থার আবেগকে উদ্দীপিত করা এবং কোনো প্ররোচনা ছাড়াই কাঁদানোর জন্য প্রধানত দায়ী। গর্ভাবস্থার শেষ দুই মাসের সময় বিশেষত প্রজেস্টেরনের মাত্রা উচ্চতর দিকে থাকে, যা নারীকে যথেষ্ট দুর্বল করে তোলে।
জামাকাপড়ের মাপ
গর্ভাবস্থাকালীন জামাকাপড় কেনা দুঃখজনক হতে পারে। কারণ নিয়মিত পোশাকগুলো মাপের থেকে খুব ছোট হবে আর মাতৃত্বের পোশাকগুলো খুব বড় হবে। আপনি এ পর্যায়ে বিশেষত যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ সভা বা সামাজিক ইভেন্টের জন্য সঠিক আবেদনময়ী পোশাক পরার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার কান্না আসতে পারে।
আবেগপূর্ণ ফিল্ম দেখা
একটি মন নাড়ানো সিনেমা বা টেলিভিশন শো দেখে আপনি মুহূর্তে অশ্রুপূর্ণ হতে পারেন। এছাড়া বাচ্চাদের ছবি, পিতা-মাতা ও সন্তানের সম্পর্কের ছবি এবং এমনকি অসুস্থ বাচ্চা প্রাণীর ছবি দেখেও আপনার কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখে জল আসতে পারে!
গর্ভাবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য
গর্ভাবস্থার শরীর এবং ওজন সম্পর্কে লোকজনের মন্তব্য বিরক্তিকর লাগতে পারে, যা কান্নার দিকে নিয়ে যেতে পারে। বাচ্চা হলে আপনার জীবন, শরীর এবং স্বামীর সাথে সম্পর্কও পরিবর্তিত হয়ে যাবে–এরকম কথা লোকজনকে বলতে শোনা স্ট্রেস তৈরি করতে পারে।
প্রসারণ চিহ্ন
প্রায় প্রতিটি গর্ভবতী এ সময়ে কমপক্ষে কয়েকটি প্রসারণ চিহ্ন পাবেন। এগুলো সাধারণত সময়ের সাথে ম্লান হয়ে যায়। তবে প্রথমবার এগুলো দেখার সময় কোনো গর্ভবতী ভেঙে পড়তে পারেন। কারণ তার শরীরের পরিবর্তন হচ্ছে।
অস্বস্তিকর লাগা
শারীরিক অস্বস্তি প্রতিটি গর্ভাবস্থারই অংশ। আপনার গর্ভাবস্থার আগে ফিট বা স্বাস্থ্যকর থাকলেও কিছু ব্যথা এবং বেদনা অবশ্যই ঘটবে। প্রতি কয়েক মিনিট অন্তর অবস্থান পরিবর্তন না করে শান্তভাবে ঘুমাতে না পারা, অতিরিক্ত ওজন নিয়ে এবং বিশাল পেট নিয়ে হেলেদুলে চলা, যখন-তখন চোখে জল আনার পক্ষে যথেষ্ট!
গর্ভাবস্থার মাইলফলক
গর্ভাবস্থার কিছু মুহূর্ত অমূল্য থাকবে–আপনি যখন প্রথমবার বাচ্চার হার্টবিট শুনবেন। প্রথমবার যখন আপনি একটি আল্ট্রাসাউন্ড ইমেজে আপনার ছোট্টটিকে দেখেন। আপনার শিশুটি প্রথমবার যখন আপনার গর্ভের ভেতরে লাথি মারবে ইত্যাদি। সুতরাং এ জাতীয় মুহূর্তের সময় নিজের অশ্রু ধরে রাখতে না পারলে অবাক হবেন না।
প্রসবের তারিখ পেরিয়ে যাওয়া
প্রসবের নির্ধারিত তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার পরও সন্তানের প্রসবের কোনো চিহ্ন না দেখলে গর্ভবতীকে হতাশ এবং অধৈর্য করতে পারে। হতে পারে যে, আপনি শারীরিক অসুবিধা সহ্য করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। যদি এর শেষ এখনো নজরে না আসে, তবে এটি বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে।
প্রসব শ্রমে থাকা
আপনি যতগুলোই গর্ভাবস্থার ক্লাসে অংশ নিয়ে থাকুন না কেন বা আপনি যতই কঠোরভাবে গর্ভাবস্থার ম্যানুয়াল অনুসরণ করুন না কেন, প্রসব শ্রম বেদনাদায়ক হতে পারে। আপনার যোনি প্রসব হোক বা সি-সেকশন হোক তা নির্বিশেষে ব্যথা হবেই!
>> দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের সময় বা আপনার গর্ভাবস্থায় যে কোনো সময় কান্নার ফলে আপনার ছোট্টটির ওপর প্রভাব ফেলবে। আপনি কেমন ধরনের মা তার ওপর এটি নির্ভর করে। এখানে কয়েকটি বিভাগ রয়েছে, যা ব্যাখ্যা করে কীভাবে গর্ভাবস্থায় কান্না শিশুর পক্ষে খারাপ:
১. যদি মানসিক স্ট্রেসযুক্ত মা হন
গর্ভাবস্থায় কিছু স্ট্রেসপূর্ণ দিন আসতে পারে। মাঝে মাঝে স্ট্রেস হলে তা আপনার শিশুর কোনো ক্ষতি করবে না। তবে যদি আপনার দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগ এবং স্ট্রেস থাকে, তবে এটি আপনার শরীরে কর্টিসল–স্ট্রেস হরমোন তৈরি করতে পারে। এই হরমোন আপনার শিশুর কাছে প্লাসেন্টার মাধ্যমে চলে যেতে পারে। যদি গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুটি নিয়মিত এই হরমোনের সংস্পর্শে আসে, তবে সম্ভবত একটি উদ্বিগ্ন এবং শূল বেদনাযুক্ত নবজাতকের জন্ম দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২. যদি হতাশাগ্রস্ত মা হন
অনেকে গর্ভাবস্থায় হতাশার শিকার হন। হিসাবে দেখা গেছে, সব গর্ভবতীর প্রায় দশ শতাংশ হতাশাগ্রস্ত। এটি সন্তানের পক্ষে ভালো নয়। কারণ এটি পরবর্তী জীবনে তার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ক্লিনিক্যালি হতাশাগ্রস্ত নারীর জন্ম দেওয়া শিশুর বড় হয়ে মানসিক অবস্থার অবনতির পাশাপাশি হতাশাগ্রস্ত হতেও দেখা গেছে।
৩. গর্ভাবস্থার জন্য অনুশোচনা করেন
আপনি যদি এমন হবু মা হন, যিনি গর্ভবতী হওয়ার জন্য খুশি নন। আপনাকে শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার মধ্যে ফেলে দেওয়ার জন্য সন্তানের প্রতি ক্ষুব্ধ হন। তবে এটি সম্ভবত বিষয়টিকে আরও খারাপ করে দেবে। দেখা গেছে, যে মায়েরা তাদের অনাগত সন্তানের প্রতি কোনো আসক্তি অনুভব করেননি, তাদের এমন শিশুর জন্ম হতে পারে। যাদের শৈশবে মানসিক সমস্যা বিকাশ করতে পারে।
৪. যদি মাঝেমধ্যে দিনগুলো খারাপ যায়
আপনি যখন গর্ভবতী, তখন মাঝেমধ্যে স্ট্রেসযুক্ত বা হতাশাযুক্ত দিন হলে সেটা ঠিক আছে। এই নয় মাসে মানসিক এবং শারীরিকভাবে অনেক কিছু চলে, তাই আপনার বেদনা এবং অস্বস্তি থাকবে না। এতটাই আপনি আশীর্বাদধন্য হবেন, তা আশা করা অযৌক্তিক হবে। মাঝে মাঝে স্ট্রেস এবং হতাশার ফলে আপনার শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশে কোনো প্রভাব পড়বে না।
আপনি কী করতে পারেন
গর্ভাবস্থাকালীন স্ট্রেস বেশ স্বাভাবিক, তবে স্ট্রেস–ঘটানো কারণগুলো মোকাবিলা করা এবং এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কিছু ডেটা অনুযায়ী, মন যখন অবিরত স্ট্রেসে থাকে এবং সে বিষয়ে মনোযোগ দেয় না, তখন এটি আপনার দেহের স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে পরিবর্তন করতে পারে। এটি প্রদাহজনক প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তুলতে পারে–এই প্রদাহ গর্ভাবস্থার স্বাস্থ্য খারাপ করে এবং বাচ্চাদের বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দেয়। সুতরাং গর্ভবতী হিসেবে শরীরের কথা শুনে প্রতিদিনের জীবনে অসুবিধা সৃষ্টি করে এমন স্ট্রেসের অনুঘটকগুলো নির্মূল করা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি কেমন বোধ করছেন; তা সম্পর্কে আপনার সঙ্গী, নিকটতম বন্ধু বা কোনো পরিবারের সদস্যের সাথে কথা বলুন। আপনি কতবার হতাশাগ্রস্ত মেজাজে রয়েছেন তা মূল্যায়ন করুন। আপনি যদি অনেক বার হতাশা এবং স্ট্রেসের সম্মুখীন হন তবে আপনাকে সাহায্য চাইতে হবে। একজন দক্ষ চিকিৎসা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করলে আপনাকে সেরা সম্ভাব্য উপায়ে এটি মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে। অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্টস ওষুধ রয়েছে যা গর্ভবতীর জন্য নির্ধারিত হতে পারে এবং আপনার ডাক্তার আপনাকে এ সম্পর্কে গাইড করতে সক্ষম হবেন। এছাড়া আপনি কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন, যেমন কোনো শখ রাখা, যোগ্য প্রশিক্ষকের নির্দেশনায় ধ্যান বা যোগা অনুশীলন করতে পারেন। স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা ও আবেগ থেকে নিজেকে বিমুখ করাও আশ্চর্য কাজ করতে পারে।
আপনাকে বিরক্ত করছে এমন মানসিক স্ট্রেস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এখানে কিছু উপায় রয়েছে:
১. নিয়মিত বিরতিতে খান। আহার বা মিল বাদ দেওয়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারণ এর ফলে মেজাজের পরিবর্তন হতে পারে এবং ক্ষুধার যন্ত্রণা ডেকে আনতে পারে, যার ফলে একজন অত্যধিক খেয়ে ফেলতে পারে। আপনার খাবারের কমপক্ষে ২ অংশের মধ্যে ফল, সবুজ পাতাযুক্ত সবজি এবং বাদাম রয়েছে তা নিশ্চিত করুন।
২. নিয়মিত ভিত্তিতে সঠিক সময়ে ঘুমাতে যান। আপনার শরীরের যে বিশ্রামের প্রয়োজন তা দেওয়া স্বাস্থ্যকর এবং সুখী মা ও শিশুর জন্য প্রয়োজনীয়। পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়ার চেষ্টা করুন যাতে আপনি জেগে উঠলে খিটখিটে ভাব এবং ঘুম কম হওয়ার অনুভূতি না থাকে।
৩. আপনার প্রয়োজন আগে পূরণ করুন। গর্ভবতী হলে এবং কাজের ও বাড়ির উভয় জায়গায় অবিরত চাহিদা থাকলে খুব কঠিন হয়ে পড়ে। তবে এই সময়ে আপনাকে ক্ষমাপ্রার্থী না হয়ে নিজের যতœ নিতে হবে–মালিশ নিন (ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরে), কোনো চলচ্চিত্র দেখতে বাইরে যান বা আপনার প্রিয় সেলুনে-পার্লারে নিজের যতœ করুন। আপনার পছন্দের জিনিসগুলো করলে স্ট্রেস উল্লেখযোগ্য ভাবে নামিয়ে আনবে।
৪. কিছু ব্যায়াম করুন। প্রক্রিয়াটিতে নিজেকে ক্লান্ত করার দরকার নেই; কেবল আপনার রক্ত গরম করলেই আপনাকে আরও ভালো মেজাজে এনে দেবে। প্রতিদিন একটি সময় নির্ধারণ করুন এবং হাঁটতে বেরোন। আপনি কিছু যোগা অনুশীলনও করতে পারেন–যে শান্ত পরিবেশ এটি সৃষ্টি করে তা আপনাকে বিশৃঙ্খলা থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করতে পারে। প্রতিদিন ৩০ মিনিটের জন্য ব্যায়াম করা আপনাকে স্ট্রেস থেকে মুক্ত করার জন্য যথেষ্ট–প্রতিদিন এটি করুন!
৫. প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকুন। এটি কঠিন হতে পারে তবে দিনের কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ আপনার ফোনের থেকে দূরে থাকলে নিজেকে বিনোদন দেওয়ার অন্য উপায় খুঁজে পেতে সহায়তা করতে পারে–পড়া, লেখা, ছবি আঁকা বা কেবল গান শোনা আপনাকে সেই সমস্ত স্ট্রেস ভুলে যেতে সহায়তা করতে পারে, যা সামাজিক মিডিয়ায় ক্রমাগত মানুষের জীবন সম্পর্কে জানা থেকে আসে।
আপনার অনাগত সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত তার বিকাশের জন্য আপনার মানসিক সুস্থতা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং আপনার জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আপনার অনুভূতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। আপনার স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখার সাথে সাথে শিশুর জন্য সবকিছু প্রস্তুত করার জন্য নিজেকে ব্যস্ত এবং নিয়োজিত রাখুন। আপনি যখন অস্থির বোধ করছেন সেই দিনগুলোতে, কিছু ঘরোয়া প্রতিকার যেমন অ্যারোমাথেরাপি মোমবাতি এবং ধ্যানের চেষ্টা করা কার্যকর হতে পারে। যদিও সহজ, এগুলো কোনো ওষুধের প্রয়োজন ছাড়াই দৈনন্দিন ভিত্তিতে মানসিক স্ট্রেস ও হতাশার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কয়েকটি অত্যন্ত কার্যকর উপায়।
লেখক: শিশু বহির্বিভাগ, ইন্টার্ন শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।