ডেস্ক রিপোর্ট:
গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দেইর আল বালাহের একটি মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর নিক্ষিপ্ত গোলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনি। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও ৯৩ জন।
রোববার ভোরের দিকে এই হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপত্যকার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেন, “মসজিদে হামলায় নিহত হয়েছেন ২১ জন, বাকি ৩ জন নিহত হয়েছেন স্কুলে হামলার ঘটনায়। সেই সঙ্গে উভয় ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯৩ জন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”
“রোববার ভোরের দিকে এই হামলা ঘটেছে। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এই মসজিদ এবং স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসাছিল।”
আহতদেদের সবাইকে গাজার আল-আকসা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসাল।
এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে রোববার বেলা ১০টার দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছিল।
“আমাদের কাছে তথ্য ছিল যে দেইর আল বালাহ’র সেই মসজিদ এবং স্কুলটিতে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ছদ্মবেশে হামাসের সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। এই অভিযানের প্রধান ও একমাত্র লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসীরা।”
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর এক বছর পূর্তির একদিন আগে চালানো হলো এই হামলা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের ১ হাজার যোদ্ধা। হামলার পর এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে আসে হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে এখনও শতাধিক জিম্মি হামাসের কব্জায় রয়েছেন।
এদিকে জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই অভিযানে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৯০ হাজার।