গ্যালারিতে ‘ বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ’, ঝড় তোলা কে এই নারী?
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ক্রীড়া ডেস্ক
কখনও উৎকণ্ঠা, কখনও বা উচ্ছ্বাস—আইপিএল নিলাম টেবিল কিংবা ম্যাচ চলাকালীন ঘুরেফিরে এমন নানা অভিব্যক্তিতে বারবার টেলিভিশন ক্যামেরায় দেখা যায় এক নারীর মুখ। প্রথম দিকে অনেকের কাছেই ছিলেন রহস্যময়ী। সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দেওয়ার পর গুগলেও দেদারসে খোঁজা হয়েছে তার নাম। এমনকী তার রুপে মুগ্ধ হয়ে নাকি বিয়ের প্রস্তাবও এসেছিল সুদূঢ় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। কার কথা বলা হচ্ছে এতক্ষণে আপনার ধরে ফেলার কথা। কাব্য মারান— আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দারাবাদের মালিক তিনি।
সর্বশেষ নিলামের পর আবারও লাইমলাইটে কাব্য মারান। গতকাল (বুধবার) রেকর্ড ৫২৩ রানের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছে তার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাটিং করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান করে হায়দরাবাদ। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রানে থেমেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
আইপিএলে সর্বোচ্চ দলীয় রানের আগের রেকর্ডটি ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল দলটি। এক দশক পর সেই রেকর্ড ভেঙে দিল হায়দরাবাদ। এই প্রথম আইপিএলের এক ম্যাচে ৫০০’র (৫২৩ রান) বেশি রান উঠল। যদিও ব্যক্তিগত শতরান হয়নি একটিও। এ ছাড়া নজির আছে আরও। ছক্কা বৃষ্টির ম্যাচটিতে দুই দল মিলে ৩৮ টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছে। যা যে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই এখন সর্বোচ্চ।
এমন ম্যাচে গ্যালারিতে হাজির ছিলেন হায়দরাবাদ মালিক কাব্য মারান। এদিন তাকে দেখে থাকলে যে কেউ বলতেই পারেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ’। তার দল যেভাবে জিতেছে তাতে নিজের আনন্দ লুকিয়ে রাখতে পারলেন না। তাকে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে নাচতেও দেখা যায়।
দলের জয় দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মালিক। স্টেডিয়ামে নাচতে থাকে তিনি। এই ছবি ক্যামেরায় ধরা পরে যায় ও সেটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে থাকে। গত কয়েক বছর ধরে তার দল খুব একটা ভালো পারফরম্যান্স করছিল না। তবে এদিনের খেলার সময় ও পরে অন্য কাব্য মারানকে দেখল ক্রিকেট ভক্তেরা।
কে এই কাব্য মারান?
সানরাইজার্স-এর প্রতিষ্ঠাতা কলানিধি মারানের মেয়ে কাব্য বেশ কয়েক বছর ধরেই দলের সঙ্গে যুক্ত। ক্রিকেট দলের সঙ্গে কাব্যর এই যোগাযোগ অবশ্য নতুন নয়। বাবার সঙ্গে হাত মিলিয়ে পারিবারিক ব্যবসা চালাচ্ছেন। সান গোষ্ঠীর মালিকের মেয়ে পড়াশোনাতেও বেশ এগিয়ে।
চেন্নাইয়ের স্টেলা মারিস কলেজ থেকে বাণিজ্যে স্নাতক হওয়ার পর এমবিএ ডিগ্রি নিতে আমেরিকায় গিয়েছিলেন কাব্য। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের লিওনার্ড স্টার্ন স্কুল অব বিজনেস থেকে বিজনেস ম্যানেজমেন্টের পড়াশোনা শেষে দেশে ফেরেন। তারপর পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন কাব্য।
আইপিএল দল ছাড়া সান মিউজিক এবং সান টিভির এফএম রেডিয়ো চ্যানেলের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন কাব্য। মিডিয়া ব্যারন কলানিধির মেয়ের রাজনীতির সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। কাব্যর বাবা সম্পর্কে তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির নাতি।তবে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বড় হলেও সক্রিয় রাজনীতির বদলে ব্যবসাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন কাব্য। ডিএমকে নেতা তথা সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দয়ানিধি মারানের ভাইঝি বাবার ব্যবসার দিকেই ঝুঁকেছেন।