নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার চরতি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীকে প্রতিপক্ষের লোকেরা মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চরতি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মারধরে চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ রক্তাক্ত আহত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা নেজামুদ্দিন নদভীর শ্যালক।
মারধরের শিকার রুহুল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, ‘আমি পরিষদে বসে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করার সময় দেলোয়ার ও নাছিরের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী আমার কার্যালয়ে ঢুকে আমাকে মারধর করে। তাদের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ ছিল না। দ্বাদশ জাতীয় সাংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আমার ওপর এ হামলা হয়েছে। নির্বাচনের পরও আমার ওপর আরেকবার হামলা করা হয়েছিল।’পাওনা টাকা না পেয়ে মারধর করেছে এমন তথ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেলোয়ার আমাকে কখনো কোনো টাকা দেয়নি। তারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে টাকা পাওয়ার বিষয় সাজাচ্ছে। আমি আইনের আশ্রয় নেবো।’
হামলার অভিযোগ উঠা দেলোয়ার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ। অনেকদিন ধরে ঘর বুঝিয়ে দেবে বলেও দেননি। ঘর না দেওয়ায় এবং ঘরের জন্য নেওয়া টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি প্রথমে চেয়ার দিয়ে মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় এবং কিল-ঘুসি মেরে আমাকে আহত করে। স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করেছে। চেয়ারম্যানের ওপর হামলা করিনি।’
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রুহুল্লাহ চৌধুরীর কাছে দেলোয়ার পাওনা টাকা চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় রুহুল্লাহ চৌধুরী দেলোয়ারকে মারধর করে। মার খেয়ে দেলোয়ার তার লোকজনদের খবর দিলে পরবর্তীতে দেলোয়ারের পক্ষের ২০-৩০ জন গিয়ে রুহুল্লাহ চৌধুরীর ওপর হামলা করে। এতে রুহুল্লাহ চৌধুরী আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউল হক চৌধুরী বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সেখানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী দেলোয়ার নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঘর দেওয়ার নামে টাকা নেয়। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।