চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন ঘিরে চলছে উৎসবের আমেজ, চলাচলে বিধিনিষেধ

প্রকাশিত: ৩:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৩

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন ঘিরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আর এই টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চট্টগ্রামে তার এই সফরকে ঘিরে নগরীর সর্বস্তরের মানুষের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

টানেল নির্মাণ ও উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীর পোস্টার ও ব্যানার শোভা পাচ্ছে নগরীর প্রায় সব সড়কে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রচার করা হচ্ছে টানেলসহ বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভিডিও চিত্র।

টানেল উদ্বোধন ঘিরে কয়েকটি সড়কে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে বিমানবন্দর, টানেল ও সি-বিচ এলাকার সড়কে ভিভিআইপিরা চলাচল করবেন। এ কারণে ২৮ অক্টোবর ভোর ৫টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন  সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) স্পিনা রাণী প্রামাণিক।

সিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৮ অক্টোবর শনিবার ভোর ৫টা থেকে সিমেন্ট ক্রসিং-কাঠগড় হয়ে কোনো যানবাহন সি-বিচ বা এয়ারপোর্ট গমন করতে পারবে না। এয়ারপোর্টগামী জনসাধারণকে সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বাম দিকে মোড় নিয়ে বোটক্লাব হয়ে যাতায়াত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দর মোড় ক্রস করে বাটারফ্লাই পার্ক হয়ে টানেল ও সি-বিচ এলাকায় গমন করা যাবে না।

অন্যদিকে ফৌজদারহাট আউটার লিংক রোডে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। সর্বসাধারণের সুবিধার্থে বন্দরগামী যানবাহন আউটার লিংক রোড পরিহার করে সিটি গেট-একে খান-সাগরিকা রোড ক্রসিং-বড়পুল-নিমতলা হয়ে চলাচল করবে। এছাড়া শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে পতেঙ্গা সৈকত এলাকায়ও কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবে না বলে নির্দেশনায় জানানো হয়।

অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী, আগামীকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে নগরীর পতেঙ্গায় টানেলের নামফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর টোল দিয়ে টানেল পার হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে কাফকো কলোনি সংলগ্ন কেইপিজেডের ৯ লাখ বর্গফুটের বিশাল মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন তিনি। জে্সভা ঘিরে সেই মাঠে লাল-সবুজে রঙের নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। টানেল উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ঘিরে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বহুল কাঙ্খিত স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে নতুন নতুন সড়ক যোগাযোগ পথে নতুন মাত্র। একদিকে যেমন সময় কমবে, অন্যদিকে পন্য পরিবহনের ক্ষেত্রে খরচ অনেকটা কমে আসবে। সেইসঙ্গে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়বে। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে দ্রুত সময় এক স্থান থেকে আরেক স্থানে পাড়ি দিতে পড়বে। যানজট অনেকটাই কমে আসবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটবে।