চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
সরকারের পদত্যাগ ও ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ষষ্ঠ দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে চট্টগ্রামে ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে বিএনপি। গত বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসব নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা ইদ্রিস আলী। তাছাড়া চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্থানীয় উপজেলা ছাত্রদল নেতা মঈনুদ্দীন যায়েদকে না পেয়ে তার ব্যবসায়ী বড় ভাই তৌহিদুল ইসলামকে গ্রেফতারের অভিযোগ করেন ইদ্রিস আলী।
তিনি বলেন, বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রদল নেতা মঈনুদ্দীন যায়েদের বাড়িতে পুলিশ বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। বাড়িতে যায়েদকে না পেয়ে তার বড় ভাই তৌহিদুল ইসলামকে পুলিশ জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। থানায় রাতভর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে বৃহস্পতিবার বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কোর্টে চালান করে দেয় পুলিশ।
ইদ্রিস আলী আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদা পোশাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাছাড়া দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাজী মিন্টুকে ডবলমুরিং থানা, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. ফারুককে বাকলিয়া থানা, সাতকানিয়া পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক শওকত আলীকে ডিবি পুলিশ, চকবাজার ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা সাখাওয়াত হোসেন সিনবাদকে চকবাজার থানা, চান্দগাঁও থানা যুবদল নেতা মোরশেদ ফয়সালকে র্যাব, মোহরা যুবদল নেতা নুরুল আবছার ও পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. আলাউদ্দিনকে চাঁন্দগাও থানা, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ শুক্কুরকে র্যাব, হাটহাজারী সড়কের ফতেয়াবাদ এলাকা থেকে বিএনপি নেতা আমজাদ আলী, যুবদল নেতা খোরশেদ আলম, ছাত্রদল নেতা কামরুল ইসলাম শিহাব, শহিদুল ইসলাম হৃদয়, মোহাম্মদ রাকিব, তৌহিদুল ইসলাম, সাঈদুল হোসেন অভি, আবুল খায়ের জিসানকে গ্রেফতার করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।