খেলাধুলা ডেস্ক:
সময়টা ভালো যাচ্ছিল না আর্লিং হলান্ডের। চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েও কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। বিশেষ করে বড় ম্যাচগুলোয় নরওয়েজীয় এ স্ট্রাইকারকে যেন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছিল না। হাতছাড়া করেছেন সহজ কিছু সুযোগও। এমন হতশ্রী পারফরম্যান্স দেখে তাঁকে ‘চতুর্থ স্তরের খেলোয়াড়’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিংবদন্তি রয় কিন।
শুধু কিনই নন, সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার ফন ডার ভার্ট বলেছিলেন হলান্ড ‘অকেজো’ খেলোয়াড়। এসব সমালোচনার জবাব দিতে হলান্ড যেন বেছে নিয়েছিলেন উলভসের বিপক্ষে ম্যাচটিকে। সিটির ৫–১ গোলে জেতা এই ম্যাচে একাই চার গোল করেছেন এ স্ট্রাইকার। আর ম্যাচ শেষে সমালোচক রয় কিনকে দিয়েছেন জবাবও।
আরও পড়ুন
এপ্রিলের শুরুতে আর্সেনালের বিপক্ষে হলান্ডের নিষ্প্রভ পারফরম্যান্সের পর হলান্ডকে এক হাত নিয়েছিলেন কিন। সে সময় কিন বলেছিলেন, ‘গোলমুখে সে অসাধারণ। কিন্তু তার সাধারণ খেলা নিম্নমানের। সে অনেকটা চতুর্থ স্তরে খেলা খেলোয়াড়দের মতো।’ উলভস ম্যাচের পর সেই সমালোচনার কথা মনে করিয়ে দিলে এক বাক্যে হলান্ড বলেন, ‘আমি সত্যিই এই মানুষটাকে পাত্তা দিই না।’
কিনকে পাত্তা না দেওয়া হলান্ড অবশ্য নিজেদের দারুণ পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব দিয়েছেন কোচ এবং সতীর্থদের। তিনি বলেছেন, ‘আমি দারুণ এক কোচ পেয়েছি যে আমাকে সব সময় ধাক্কা দেয়। আমার আশপাশে খেলোয়াড়গুলোর দিকে তাকান, তাদের ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না। এখন আমরা সামনে তাকাচ্ছি। আমাদের সামনে মৌসুমের চারটি ফাইনাল ম্যাচ বাকি আছে। আমরা সেগুলো জিততে চাইব। এই মুহূর্তে আমরা ফুলহাম ম্যাচে মনোযোগ রাখছি।’
ম্যাচ শেষে হলান্ডকে প্রশংসায় ভাসান কোচ গার্দিওলা। হলান্ডের গোলে মুগ্ধতা প্রকাশ করে স্প্যানিশ এ কোচ বলেছেন, ‘আর্লিং তার আসল রূপে ফিরে এসেছে। পেনাল্টি গোলগুলো নিশ্চিত ছিল, কিন্তু দ্বিতীয় (হেডে করা গোল) এবং চতুর্থ (বাঁকানো শটে করা গোল) গোল ছিল অবিশ্বাস্য। নিজের সেরা ছন্দে ফিরতে ওর সময় দরকার।’
আরও পড়ুন
এদিন ম্যাচের ৮৩ মিনিটে হলান্ডকে তুলে নেন গার্দিওলা। সে সময় তাঁকে হতাশা প্রকাশ করতেও দেখা যায়। বিষয়টি জানতে চাইলে গার্দিওলা বলেন, ‘সে কিছুটা হতাশ ছিল, আমি তা বুঝতে পারি। সে রেফারির ওপর হতাশ ছিল। লং বলে অনেক সময় তারা ওকে ধাক্কা দিচ্ছিল এবং টেনে ধরছিল। তবে ওর পারফরম্যান্স এবং অসাধারণ গোল নিয়ে আনন্দিত।’