চীনে এ বছর যা ঘটতে পারে: ফরেন পলিসি সাময়িকীর ভবিষ্যদ্বাণী
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ডেস্ক রিপোর্ট :
গত কয়েক দশকে চীন অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক এগিয়েছে। নানা ইস্যুতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশে তারা প্রভাব বিস্তারেও সক্ষম হচ্ছে। চীনের পণ্য বিশ্বের নানা দেশে রপ্তানি হয়। অর্থনৈতিক কারণের পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক নানা ইস্যুতেও গুরুত্ব বেড়েছে বেইজিংয়ের। তবে আছে নানা সংকটও। ২০২৪ সালে তারা কী কী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে, এ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে ফরেন পলিসি সাময়িকী। এগুলো তুলে ধরা হলো–
তাইওয়ান সংকট
আগামী ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্বস্তি রয়েছে বেইজিংয়ের। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লড়াইয়ে তাইওয়ান সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে এগিয়ে আছেন। ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) এই নেতা শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হলে চীনের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারেন। লাই চিং-তে তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে সোচ্চার এবং বেইজিংয়ের একজন কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
আবাসন ব্যবসা টালমাটাল
চীনের আবাসন ব্যবসা টালমাটাল অবস্থায় আছে। চলতি বছরও এভাবে থাকতে পারে। অনেক স্থানে বাসা ভাড়া-সংক্রান্ত খরচ বেড়েছে। আবার বেশ কিছু আবাসন প্রকল্প ব্যর্থও হয়েছে। এগুলো বৃহৎ প্রকল্পের অধীনে নির্মাণ করা হলেও কেউ সেখানে থাকছেন না।
রাজনৈতিক নেতৃত্বে রদবদল
বিগত বছরে চীনে বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতার পতন হয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন– পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুইন গ্যাং এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শ্যাংফু। তাদের পতনের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। তবে চলতি বছরও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) শীর্ষ পর্যায়ে রদবদল থাকতে পারে।
তরুণদের মোহভঙ্গ
গত তিন বছরে চীনে জনগণের মনোভাব পরিবর্তিত হয়েছে। বহু তরুণের মধ্যে দেশের বাইরে বেরোনোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কভিড-১৯ মহামারিকালে ২০২১ ও ২০২২ সালে ‘জিরো কভিড’ নীতির তারা হাঁপিয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে ছিল অর্থনৈতিক সংকটও।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক
বিগত বছরের মতো এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কে কোনো অগ্রগতি হবে না, অথবা সম্পর্ক খারাপের দিকেও যাবে না। গত নভেম্বরে সানফ্রান্সিসকোতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে সফল বৈঠক হয়। তখন দু’পক্ষই বৈঠকের সাফল্যের কথা বলেন, যা গত কয়েক বছর ধরে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। কার্যত ওই বৈঠকের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়া। তবে এটা মনে করার কারণ নেই, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব শেষ হয়ে গেছে। চলতি বছরও তাদের সম্পর্ক একইভাবে থাকতে পারে।