জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাগঞ্জে চৈত্রের প্রথম সপ্তাহে সারাদিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টিতে আমের মুকুলের হালকা ক্ষতি হলেও গুটির উপকার হয়েছে বেশ। তবে আমচাষিরা এখনো আশা-নিরাশায় রয়েছেন। এই বৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছেন নাকি উপকার বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি বুধবার (২০ মার্চ) বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, যেসব গাছে এখনও মুকুল ফুটে আমের গুটি হয়নি সেসব গাছের মুকুল ক্ষতিগ্রস্ত হবে বৃষ্টিতে।
শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই বৃষ্টি বিকেল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। আমার আমের মুকুলের ক্ষতি হবে নাকি উপকার হবে বুঝে উঠতে পারছি না।তিনি আরও বলেন, আমার ২ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আম বাগান রয়েছে। তবে এবার আমের মুকুল কম।
সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আলি হাসান বলেন, রাতে আকাশ মেঘলা হয়ে বৃষ্টি শুরু হয়। বুধবার ভোরের দিকে গুড়ি গুড়ি হয়ে নামে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুড়ি বৃষ্টি রূপ নেয় মাঝারিতে। দুপুরের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত আবারও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি নামে। এতে আমার আমের মুকুলের ভিষণ ক্ষতি হয়েছে।
শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন শামীম খান বলেন, যে আমের মুকুলগুলো এখনো ছোট সেগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে। কিন্তু যে মুকুলের গুটি এসেছে সেগুলোর উপকার করবে এই বৃষ্টি।চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলেন, যেসব আমগাছে গুটি বের হয়েছে, সেসব গাছের জন্য এই বৃষ্টি খুবই উপকারী। এতে আমের গুটি বেড়ে উঠতে সহায়ক হবে। তবে কিছু আম গাছের মুকুলের ক্ষতি হবে।