ছাত্রদল-শিবির সংঘর্ষ, ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধসহ আহত ৬
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ইব্রাহিম মাসুম (২৮) নামের ছাত্রদলের এক নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের কাঁচিহাটা বাজারে এসব ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ মাসুম আমান উল্যাহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্রদল কর্মীরা সোহেল নামের এক মাদক সেবনকারীকে আটক করে পরিবারের কাছে তুলে দেন। ওই ঘটনার জেরে সোহেলের পক্ষ নিয়ে শিবিরের কয়েকজন কর্মী এসে ছাত্রদল কর্মীদের ওপর হামলা করে। ওই সময় হামলাকারীরা ছাত্রদল নেতা মাসুমের পায়ে গুলি করে। ওই সময় আরও পাঁচজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম বলেন, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় কাঁচিহাটা বাজারের পাশে একটি ঘরে যুবক সোহেল ইয়াবা সেবন করছিলেন। ওই সময় কিছু যুবক তাকে আটক করে। বিষয়টি বিকেলে স্থানীয়ভাবে সমাধান করার সিদ্ধান্ত হয়। পরে ছাত্রদলের নেতারা আটক যুবককে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনার পর সন্ধ্যার দিকে মাসুম কাঁচিহাটা বাজারের একটি দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে শিবিরের কয়েকজন ছেলে এসে তাকে মারধর করে। এরপর তিনি একটি ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিতে যান। পরে ওই ফার্মেসিতে কয়েকজন শিবির নেতাকর্মী এসে আবারও মাসুমের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা তার বাম পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার বলেন, যে ছেলেটাকে মারধর করা হয়েছে তিনি জামায়াত রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। অনেক আগে তিনি ছাত্রদল করতেন। ছয় মাস আগে তিনি জামায়াতে যোগ দেন। এ জন্য সকালে তাকে মারধর করা হয়। তবে কে বা কারা ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা করেছে তা আমি জানি না।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। গুলিবিদ্ধ যুবক লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুক বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। গুলিবিদ্ধ যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কী নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি।