
ক্রীড়া ডেস্ক:
বাংলাদেশে টেস্ট ক্রিকেটের দর্শক এমনিতেই কম। প্রতিপক্ষ এবং ভেন্যুর ওপর নির্ভর করে দর্শক সমাগম। ঢাকা বা চট্টগ্রামের চেয়ে সিলেটে টেস্ট লেখা দেখেন কম মানুষ। সেখানে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হলে মাঠে দর্শক টানা কঠিন বলে মনে করেন ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টরা। টিকিট বিক্রি করে এর ছাপার খরচ তোলাই কঠিন হয়ে পড়ছে। গতকাল সিলেট টেস্টের প্রথম দিন গ্যালারি ছিল খাঁ-খাঁ। ৫০ জনের মতো দর্শক নিয়ে মাঠে গড়ায় ম্যাচ। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত সেই সংখ্যা বেড়ে সাড়ে ৩০০ হয়েছিল। টিকিট বিক্রির বুথ ও ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই দিনে ৬৭১টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৬১ হাজার ৪০০ টাকা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ১৮ হাজার। দিনের হিসাবে ৭ হাজার ১০০ টিকিট ছাপা হয়েছে। এই টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছে মধুমতি ব্যাংক। সিলেটে স্টেডিয়াম কাউন্টার এবং আম্বরখানার মধুমতি ব্যাংক শাখা থেকে টিকিট বিক্রি করা হয়। এই শাখার ম্যানেজার দীপন চন্দ্র রায় বলেন, ‘টেস্টের প্রতি সিলেটে আগ্রহ কম। যে রেশিওতে টিকিট বিক্রি হচ্ছে, তাতে লাভ হবে না।’
সিলেটে টি২০ এবং ওয়ানডে ক্রিকেটের সমর্থক বেশি। সুন্দর এই ভেন্যুতে সাদা বলের ক্রিকেট মানেই টিকিটের জন্য হাহাকার। বিদেশি দলের সঙ্গে ম্যাচ হলে স্টেডিয়াম দর্শকে পূর্ণ থাকে। টেস্টেও কোনো বড় দলের সঙ্গে খেলা থাকলে কয়েক হাজার দর্শক হতো বলে জানা স্থানীয় সংগঠকরা।
সিলেট টেস্টের পাঁচ দিনের জন্য ৩৫ হাজার ৫০০ টিকিট ছাপা হয়েছে। এই টিকিট ছাপতেই মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়েছে বিসিবিকে। মধুমতি ব্যাংককেও টিকিট বিক্রির আয়ের ভাগ দিতে হবে। সিলেট টেস্টের টিকিট বিক্রির আয় থেকে ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে না বলে মনে করেন বিসিবি কর্মকর্তারা। বোর্ডের টিকিটিং কমিটির সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ রুবেল মনে করেন, সিলেট টেস্টে পাঁচ দিন খেলা হলে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হতে পারে।
দুই টেস্ট মিলে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা জমা হতে পারে ব্যাংকে। কারণ, গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা দুই টেস্টের সিরিজে টিকিট বিক্রি হয়েছিল ১২ লাখ টাকা। ঢাকার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হয়েছিল ম্যাচ দুটি। সুতরাং জিম্বাবুয়ে সিরিজ মানেই লসের বোঝা ভারী।