নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগাম জামিন নিতে এসে ধরা খেলেন মানবপাচার মামলার পাঁচ আসামি। তাদের জামিন না দিয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত শুনানিতে আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন- বোয়ালিয়ার পদ্মা আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার মো. রিটু (৪৫), হোটেল মালিক মো. আবুল কালাম আজাদ (৩৫), মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫), মো. আফজাল হোসেন (৪১) ও মো. ইসরাফিল (৪৫)। তারা পলাতক ছিলেন। পরে তারা হাইকোর্টে আগাম জামিন নিতে আসেন। এ সময় জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. মাসুদ পারভেজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী।
এর আগে ১৭ অক্টোবর ১৩ জনকে আসামি করে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন রাজশাহী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) ডিবি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান। আসামিদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৭,৮, ১২ ও ১৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অসামাজিক কাজের প্রস্তাব, প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখানোর মতো অপরাধের বর্ণনা আছে এসব ধারায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, প্রধান আসামি মো. নাইমুল ইসলাম নাঈম (১৯) ফোন করে পরিচিত এক নারীকে বোয়ালিয়ার সাহেব ভুবনমোহন পার্কে আসতে বলেন। ১৬ অক্টোবর বিকেলে পার্কে গেলে ভুক্তভোগী নারীকে সাহেব বাজার গণকপাড়ার পদ্মা আবাসিক হোটেলের ২০১ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান নাঈম। সেখানে যৌন সম্পর্ক করতে চাইলে আপত্তি জানান ওই নারী। এক পর্যায়ে ওই নারীকে হোটেল কক্ষে আটকে রাখেন নাঈম। এ সময় নাঈম বাথরুমে গেলে সুযোগ পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান ভুক্তভোগী। হেতেমখাঁ মোড় হয়ে বাড়ি ফেরার সময় ডিবি পুলিশ দেখতে পেয়ে তাদের পুরো ঘটনা খুলে বলেন তিনি।
ডিবি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান সরকার মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে বলেন, ঘটনা জানার পর ওই হোটেলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নাঈম, পদ্মা আবাসিক হোটেলের স্টাফ মো. সোহাগ (৩১), মো. আবুল কালাম (৫৫), শাপলা (২৮), আঞ্জুমান (৩৫), শিরিন আকতার (২২), মাসুদা আক্তার (২০), রোকসানাকে (২৬) গ্রেফতার করা হয়। আর বাকি পাঁচ আসামি পালিয়ে যান।