
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
বিভিন্ন উপায়ে পেটের মেদ কমানো সম্ভব। নিজেকে ফিট রাখার জন্য অনেক স্বাস্থ্য-সচেতন ব্যক্তিই জিমে ছোটেন। যদিও ব্যায়ামই ওজন কমানোর একমাত্র উপায় নয়। যাদের জিমে যাওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় বা সংগতি নেই তাদের জন্য পেটের মেদ কমানোর উপায় কী? হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জিমে না গিয়েও আপনি খুব সহজেই পেটের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন। সেজন্য মেনে চলতে হবে কিছু উপায় এবং সেইসঙ্গে থাকতে হবে লেগে থাকার ইচ্ছা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, জিমে না গিয়েই কীভাবে পেটের মেদ ঝরাবেন-
চিনি কমান
পেটের মেদ কমানোর জন্য চিনি কমানোকে একটি প্রাথমিক কৌশল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। চিনিযুক্ত পানীয়ের পরিবর্তে পানি, মিষ্টি ছাড়া চা বা ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন। যেসব খাবারে চিনি বেশি আছে সেগুলো বাদ দিন। চিনির আকাঙ্ক্ষা মেটানোর জন্য ফলের মতো প্রাকৃতিক বিকল্প বেছে নিন।
প্রোটিন এবং ফাইবার খান
পেটের মেদ কমানোর জন্য প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই পুষ্টিগুলো হজমে সহায়তা করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে, ওজন কমানোর সময় অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকিংয়ের অভ্যাস কমাতে সাহায্য করে।প্রাকৃতিক চর্বি কমানোর একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখুন
চর্বি পোড়ানোর জন্য বেশ কিছু পানীয় এবং খাবার ব্যবহার করা যেতে পারে। চর্বি পোড়ানোর বৈশিষ্ট্যের জন্য এপিগ্যালোকাটেচিন-৩-গ্যালেট (ঊএঈএ) সমৃদ্ধ গ্রিন টি সুপারিশ করা হয়। অন্যান্য প্রস্তাবিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফ্যাটি মাছ, আপেল সিডার ভিনেগার, অলিভ অয়ের, ডিম এবং ক্যাপসাইসিনযুক্ত মরিচ।
৮ ঘণ্টা ঘুমান
ওজন নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ঘুম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাত ঘণ্টার কম ঘুম কর্টিসল নিঃসরণকে ট্রিগার করে, যার ফলে চর্বি জমা হয় এবং ক্ষুধার হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
ওজন নিয়ন্ত্রণের একটি মৌলিক উপাদান হিসেবে পানি পানের ওপর জোর দেওয়া হয়। নিয়মিত হাইড্রেশন শরীরের সর্বোত্তম কার্যকারিতায় সহায়তা করে, যা সামগ্রিক ক্যালোরি গ্রহণ কমাতে পারে। দ্রুত সমাধানের পরিবর্তে, টেকসই ওজন কমানোর পদ্ধতি বেছে নিন। দ্রুত সমাধানের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদী জীবনযাপনের পরিবর্তনের ওপর জোর দিন।