জিমি ইস্যুতে সাবেক তারকারা হতবাক

প্রকাশিত: ১:৫৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক:

 

জাতীয় দলে গঠনের জন্য বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষা নিতে ৫৭ জনের নাম ঘোষণা করলেও সেখানে দেশের এক নম্বর তারকা রাসেল মাহমুদ জিমির নাম নেই। ফেডারেশন চিন্তা করেছে জিমির বয়স হয়েছে। আর জিমিকে ডাকার পর সে যদি বাদ পড়ে সেই আশংকায় জিমিকে ডাকছে না ফেডারেশন।

এসব কথা শুনে সাবেক তারকারা একগাল হাসছেন। হকির জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড়রা এসবের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না। সাবেকদের চোখে জিমি এখনো দেশের সেরা খেলোয়াড়। ৫৭ জনকে ডাকবে আর সেখানে জিমি ডাক পাবেন না, সেটা যুক্তিসংগত মনে করছেন না সাবেক খেলোয়াড়রা।

‘বয়স বেধে দেওয়া কিংবা ফিটনেস পরীক্ষা না দেখে বাদ দেওয়াটা যুক্তিসংগত না’, বললেন মওদুদুর রহমান শুভ। তিনি বললেন, ‘জিমি অবশ্যই ভালো খেলোয়াড়। লিগে ভালো খেলেছে, বিজয় দিবস হকিতে ভালো পারফরমড করেছে, সে ডাক পেতেই পারে। একজন খেলোয়াড় এত দিন ধরে জাতীয় দলে সার্ভিস দিয়ে আসছে তাকে প্রুফ করার সুযোগ দেবে না? না দেখে বাদ দেওয়াটা ঠিক না।’ শুভ বললেন, ‘বাদ পড়লে সেটা জিমির ব্যাপার। বাদ দিতে চাইলে ফিটনেসের অজুহাতেও বাদ দেওয়া যাবে।’

ফিটনেস পরীক্ষা না নিয়ে জিমিকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে আরেক সাবেক তারকা হকি খেলোয়াড় শহিদুল্লাহ টিটু বললেন, ‘জাতীয় দল তো বয়স ভিত্তিক না। তাহলে বয়স নিয়ে কথা কেন। এটা অবশ্যই ঠিক হয়নি। মেসি, রোনালদো খেলছে কীভাবে। বয়স কোনো ম্যাটার করে না। পারফরম্যান্স দেখা হয়।’ তিনি বলেন, ‘জিমি গত জাতীয় দলের স্কোয়াডে খেলেছেন। হঠাৎ করে তাকে বাদ দেওয়াটা ঠিক হয়নি।’ টিটু উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘জিমি আগেও বিদেশি কোচের অধীনে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়ে খেলেছিলেন। ফিটনেস দেখার লোক জন রয়েছে। জিমি খেলতে পারবেন কি না, সেটা দেখবেন কোচ। সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ।’

আরো একজন সাবেক তারকা টুটুল কুমার নাগ জিমি ইস্যুতে উদাহারণ দিয়ে মেসি, রোনালদো, বিরাট কোহলিকে টেনে বলেছেন, ‘এই খেলোয়াড়রা কীভাবে খেলছেন। স্পোর্টস ডিপেন্ডস অন পারফরম্যান্স। এখানে অন্য কোনো পথ নেই। মাঠে নেমে খেলতে হবে। পৃথিবীতে একটা জায়গা, যেখানে নকল করে পাশ করার সুযোগ নেই। আপনি মাঠে নামবেন খেলবেন, সবাই দেখবে। কেউ আপনার খেলাটা খেলে দিতে পারবে না। জিমি খেলতে না পারলে বাদ পড়বে।’

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিস চলছে। গতকাল রাতে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সিংগেলসে কোয়ার্টার ফাইনালে স্প্যানিশ তরুণ তারকা কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছেন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচ। ৩৭ বছর বয়সি জকোভিচ, ২১ বছর বয়সি আলকারজকে কাঁদিয়ে ছেড়েছেন। তাতে প্রমাণিত, বয়স নয়, অভিজ্ঞতা এবং ফিটনেস একজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে কতো দূর এগিয়ে নিতে পারে। খেলার পৃথিবীটাই এরকম। ব্যতিক্রম বাংলাদেশের খেলা অঙ্গনের কিছু মানুষ। এদেশের খেলার মঞ্চে অনেকই আছেন, নিজের নাক কেটে দেশের যাত্রা ভঙ্গ করতে চান। সবাই বলছে জিমির পারফরম্যান্স ভালো। কিন্তু ফেডারেশনের কয়েকজন, সঙ্গে বাইরের কয়েক জন মিলে জিমির দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।