‘জীবনে বিয়ের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না

প্রকাশিত: ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক :

কিটু গিদওয়ানি, ৩৫ বছরের অভিনয়জীবন। দূরদর্শনে ‘তৃষ্ণা’, ‘স্বাভিমান’, ‘জুনুন’, ‘এয়ার হস্টেস’-এর মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। যখন যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন দাগ কেটেছেন দর্শকহৃদয়ে।

তাই বলে একেবারে লক্ষ্মীমন্ত নায়িকা তিনি, এমনটাও কিন্তু নন। বরং দৃঢ়চেতা, উচ্চবিত্ত ঘরানার নারী চরিত্রেই ছিলেন মানাসই। মধুর ভন্ডারকরের ‘ফ্যাশন’ ছবিতে ‘অনীশা শ্রোফ’-এর চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন।

ক্যারিয়ারের শুরুতে আমির খানের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে সাড়া ফেল দিয়েছিলেন। আজও অভিনেতার সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়েছে।

দীর্ঘ ৫৭ বছরের পথ পেরিয়ে এখনো তিনি সিঙ্গেল। জীবনে বিয়ে করার খুব একটা প্রয়োজন নেই বলেও মনে করেন এই অভিনেত্রী।

সম্প্রতি আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন তিনি। কিটু গিদওয়ানি বলেন, ‘আমি একা থাকতে ভালোবাসি। নিজের কাজের প্রতি যত্নশীল, ভালোলাগাকে গুরুত্ব দিই। জীবনে বিয়ে করার খুব একটা প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। নিজেকে বোঝা, নিজের মনকে বোঝা দরকার। নিজের জীবনে শান্তি থাকাটা দরকার। তা না হলে ভালো কাজ করবেন কীভাবে জীবনে? ঘুরে বেড়ান, বিভিন্ন জায়গা দেখুন, এই সমাজের জন্য কিছু করুন। বিয়েই সব নয়।’

কিটু বলেন, ‘অভিনেত্রী হিসেবে ৩৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। অনেক পরিণত হয়েছি, কিন্তু যতটা কাজ পাওয়া আমার উচিত ছিল, ততটা পাচ্ছি না। আমি শুধু নায়ক-নায়িকার মা হওয়ার কাজ পাই। কিন্তু সরাসরি নাকচ করে দিই। এ ধরনের কাজ বড্ড একঘেয়ে লাগে। নারীকেন্দ্রিক সিনেমার অবস্থা খুব খারাপ। বরং ওটিটির পরিস্থিতি তুলনামূলক ভাল। আসলে ভারতে এখনও পিতৃতন্ত্রকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। নারীদের আরও বেশি করে সুযোগ পাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। বেশি বয়সের অভিনেত্রীদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা তো বেঁচে আছি এখনও।’

অভিনেত্রী বলেন, ‘পশ্চিমের দেশগুলিকে দেখলে হিংসা হয়। ব্রিটেনে বেশি বয়সি মহিলাদের নিয়ে যে ভাবে ভাবা হচ্ছে, তা সত্যিই ঈর্ষা করার মতো। একজন পেশিবহুল পুরুষ কোনও জটিল সমস্যার সমাধান করেছেন, এটা দেখার থেকে একজন মহিলা কীভাবে ভাবছেন, কীভাবে কথা বলছেন, সেটা দেখতে দর্শকও উৎসাহী হবেন। আমার তো তা-ই মনে হয়। আমাদের এখনকার মানুষ খুব ভিতু। কারণ তাদের টাকার প্রয়োজন।’

আমির খানের সঙ্গে ‘হোলি’ ছবিতে চুম্বনের সেই দৃশ্য নিয়েও কথা বলেছেন কিটু। তার কথায়, ‘আমিরের সঙ্গে কয়েক সেকেন্ডের একটা চুমু। দুজনেই পেশাদার অভিনেতা। তখনও কোনও অস্বস্তি ছিল না, এখনও হত না। আসলে আমাদের কাজটা সততার সঙ্গে করে যেতে হবে। সমাজ বা সামাজিক মাধ্যমে কে কী বলল, পাত্তা দেওয়া উচিত নয়।’