জেএমবি’র জঙ্গি নেতা সালেহীনের সহযোগীসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশিত: ৬:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৩

সাইফুল ইসলাম:
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) বর্তমান আমির সালাউদ্দিন সালেহীনের একসময়ের একান্ত সহযোগীসহ জেএমবির দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)। গ্রেফতাররা হলেন- মো. নুরুল ইসলাম (৪০) ও মো. রাসেল (৩৭)। আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) ওয়াহিদা পারভীন।
তিনি জানান, আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদে পৃথক দুটি অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এটিইউর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) ওয়াহিদা পারভীন জানান, গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন দারুল আকরাম একাডেমির পাশ্ববর্তী এলাকায় পরিচালিত এক অভিযানে জেএমবির ওয়ারেন্টভুক্ত সক্রিয় সদস্য ও জেএমবির বর্তমান আমির সালাউদ্দিন সালেহীনের একসময়ের একান্ত সহযোগী নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি তার বাবা ও ভাইসহ জেএমবির সূচনালগ্ন থেকে সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘ ২ যুগ সময় ধরে নুরুল ইসলাম জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে জননিরাপত্তা বিপন্ন করার জন্য সাংগঠনিকভাবে কাজ করে আসছিল।
তিনি বলেন, ২০০৩ সালের ১৬ ফেব্র“য়ারি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ব্র্যাকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জেএমবির শুরা সদস্য সালাউদ্দিন সালেহীনকে গ্রেফতার করা হলে ওই ডাকাতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ২০০৭ সালের ৫ অক্টোবর পুলিশ নূরুল ইসলামসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। নুরুল ইসলাম মামলার শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোয়েন্দা তৎপরতার ধারাবাহিকতায় অবশেষে তাকে টঙ্গী থেকে গ্রেফতার করে এটিইউ।

এদিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন নাসিরাবাদ স্টিল মিল এলাকায় পরিচালিত অন্য এক অভিযানে জেএমবির সক্রিয় সদস্য এবং সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেল লালমনিরহাট জেলার অন্যতম দায়িত্বশীল হিসেবে ২০০০ থেকে জেএমবির কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।


ওয়াহিদা পারভীন আরও বলেন, ২০০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর নীলফামারীর ডিমলা থানাধীন দক্ষিণ খড়িবাড়ি এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক চলাকালে জেএমবি সদস্য গোলজার হোসেনকে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসময় রাসেলসহ অন্যান্য সহযোগীরা কৌশলে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচারকার্য শেষে আদালত রাসেলসহ ৪ জনকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রাসেল দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। জঙ্গিবিরোধী এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এটিইউর এই কর্মকর্তা।