জেমস বন্ডের ‘গোল্ডফিঙ্গার’ সিনেমার অনুপ্রেরণায় গাড়ি বানাল রোলস-রয়েস

প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক:

জেমস বন্ড সিনেমা ‘গোল্ডফিঙ্গার’ এর ৬০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একটি বিশেষ গাড়ি তৈরি করেছে রোলস-রয়েস। ইতিমধ্যে এই ব্র্যান্ডের অনেকগুলো গাড়ি বিভিন্ন জেমস বন্ড সিনেমায় দেখা গেছে। তবে নতুন ফ্যান্টম গোল্ডফিঙ্গার গাড়িটি ১৯৩৭ সালের রোলস-রয়েস ফ্যান্টম থ্রি সেডাঙ্কা দে ভিলের আদলে তৈরি। ১৯৬৪ সালের শন কনারি অভিনীত জেমস বন্ড সিনেমাটিতে এই গাড়িটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, খবর- সিএনএন।

গাড়িটি তৈরি করা হয়েছে কেবল একজন ক্রেতার জন্য। তার সুবিধার কথা মাথায় রেখেই গাড়িটির বিভিন্ন বিশেষ বৈশিষ্ট্য রাখা হয়েছে। আর পুরো গাড়িটিই গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড। রোলস-রয়েস জানিয়েছে, গাড়িটি তৈরি করতে তাদের তিন বছর লেগেছে।
জেমস বন্ডের উপযুক্ত এ গাড়িটিতে রয়েছে আশ্চর্যজনক সব অনন্য গ্যাজেট। আর এগুলোর অনেকগুলোই সোনার তৈরি বা সোনায় মোড়ানো।
সিনেমায় নায়ক বন্ড আর ভিলেন অরিক গোল্ডফিঙ্গারের গলফ কোর্সে প্রথম সাক্ষাতের দৃশ্যটি স্মরণ করিয়ে দিতে গাড়িটির ট্রাঙ্কের ঢাকনায় একটি সোনার গলফ ক্লাব লাগিয়েছে রোলস-রয়েস।

গাড়ির পিকনিক টেবিলে ২২-ক্যারেট সোনার নকশায় মার্কিন গোল্ড রিজার্ভের অবস্থানের একটি কাল্পনিক মানচিত্র রয়েছে। সুইজারল্যান্ডের ফর্কা পাসের একটি মানচিত্রও আছে। এ দুটোই সিনেমাটির গল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।

রোলস-রয়েস মোটর কারস-এর ডিজাইনার নিক রোডস জানান, গাড়িটির ‘স্পিরিট অব এক্সট্যাসি’ মূর্তিটিও সোনার আবরণে আবৃত। কিন্তু এ সোনার নকশাটি এমনভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা ভালোভাবে খেয়াল না করলে বোঝা যায় না ।
কার জন্য তৈরি এই গাড়িটি? তার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে, তবে রোলস-রয়েসের গ্লোবাল প্রোডাক্ট কমিউনিকেশনের প্রধান জর্জিনা কক্স বলেছেন, তিনি একজন ‘গাড়ি সংগ্রাহক এবং জেমস বন্ডের ভক্ত’।

এ গাড়ির পেছনে কত ব্যয় হয়েছে, তাও খোলাসা করেনি বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।