জোরালো হচ্ছে পদত্যাগের দাবি, কেমন হবে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ?
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
ডেস্ক রিপোর্ট:
এক দশক ধরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এবার তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। দুর্নীতি, সামাজিক বৈষম্য তো আছেই সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে গাজায় গত এক মাস ধরে চলা অমানবিক সহিংসতা। এই যুদ্ধ শেষে ডানপন্থি এই নেতা ক্ষমতায় থাকবেন কি না তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সহিংসতার শেষ হলে নেতানিয়াহু নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ইসরায়েলের বার-ইলান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সের গবেষক টবি গ্রিন বলেছেন, ৭ অক্টোবর সহিংসতা শুরুর আগেও নেতানিয়াহু এবং তার জোটের জন্য সমর্থন কমে গিয়েছিল এবং যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি আরও অনেক কমে গেছে। তিনি আরও বলেন, এখন যদি নির্বাচন হয়, তিনি খুব বড় ব্যবধানে হেরে যাবেন।
সাম্প্রতিক জরিপ বলছে, নেতানিয়াহু এবং তার ডানপন্থি দলের সমর্থন এরই মধ্যে অনেক কমে গেছে। সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থা নিরাপত্তা ব্যর্থতার কথা স্বীকার করলেও নেতানিয়াহু হামাসের আকস্মিক হামলার জন্য কোনও দোষ স্বীকার করেননি। নেতানিয়াহুর অনেক মিত্ররা এই ইস্যুতে চুপ রয়েছে। শুধু তাই নয়, তার মন্ত্রিসভায় বেশি কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী যোগ দিয়েছেন।
এদিকে নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে শনিবার রাস্তায় নামে হাজার হাজার ইসরায়েলি। তার বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভকারীরা।
অন্যদিকে জেরুজালেমের হিব্রু ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক রিউভেন হ্যাজান নেতানিয়াহুকে একজন মেধাবী রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি এখন সময়ের জন্য খেলছেন।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিন ইস্যুতে নেতানিয়াহুকে পদত্যাগের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, একমাত্র পদত্যাগ যা করবে তা হলো হামাস।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দুটি উপায় আছে। প্রথমত, তাকে নিজে থেকে পদত্যাগ করতে হবে, দ্বিতীয়ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তাকে নির্বাচনে হারাতে হবে।
রেইখম্যান ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর লিবার্টি অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটি হামাসের হামলা শুরুর ১০ দিন পর একটি জরিপ চালায়। ওই জরিপের ফলাফল আসে যে, হামাসের হামলার পর নেতানিয়াহু সরকারের কার্যক্রমে ইসরায়েলের ৭৬ শতাংশ মানুষ বিরক্ত।
গত ২৭ বছরের মধ্যে ১৬ বছর দেশ শাসন করে আসছেন নেতানিয়াহু। এখনও আদালতে তার বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন আছে।