ঝালকাঠিতে অনলাইনে জুয়া-মাদক সেবনে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
জেলা প্রতিনিধি,ঝালকাঠিঃ
ঝালকাঠিতে অনলাইনে জুয়া খেলা ও মাদক সেবনে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ। কিন্তু এ বিষয়ে পুলিশের নিরব ভূমিকায় সচেতন মহলের তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ১০নং নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাড়ৈয়ারা গ্রামে জুয়া ও মাদকের আড্ডা অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। ১৫ বছর থেকে শুরু করে ৪০ বছরের অনেকেই নেশায় আসক্ত। জেলার সদর, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া চার উপজেলার শহরের ও গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জুয়া ও মাদকের জমজমাট আড্ডা বসে। যার ফলে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে যুবসমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। দিন দুপুরে ও গভীর রাত পর্যন্ত চলে যুবকদের সর্বনাশা জুয়া ও মাদক সেবনের আড্ডা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাড়ৈয়ারা গ্রামে ১৫ থেকে ৩৫ বছরের যুবক ও কিশোর দল বেধে বিছানা বিছিয়ে ১৫/২০ জনের দলে বিভক্ত হয়ে বাজি ধরে তাস ও নানা রকম গেমস খেলছে সঙ্গে চলছে মাদক সেবন। আবার এদের মধ্যে কেউ কেউ মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, ছেলেরা দিন রাত জুয়া খেলছে এবং মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। আমরা বাধা দিয়েও ঠেকাতে পারছি না বরং আমাদের নানা রকম হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। সন্তান মা-বাবার অবাধ্য হয়ে গেছে। আমাদের সন্তানদের মতো আরো অনেকে এ ধরনের কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। তারাও বাবা-মায়ের কথা শুনছে না। সময় অসময় তারা আড্ডা দিচ্ছে। যুবক ছেলেদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে বয়স্কদেরও আড্ডা দিতে দেখা যায়। তারা এলাকার মুরব্বি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের তোয়াক্কা করছে না। ফলে এদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে পিতামাতাসহ অভিভাবকেরা।
সচেতন মহলের ব্যক্তিরা জানান, অত্যন্ত প্রত্যন্ত অঞ্চলে জুয়া ও মাদকের আড্ডা বসায় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গ্রামের যুবকেরা এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এটি সামাজিক ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। প্রশাসন নজরদারী না বাড়ালে অদূর ভবিষ্যতে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সব সময় মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে কাজ করছে। যেসব এলাকায় জুয়া ও মাদকের আড্ডা বসে এরকম ঘটনার খবর পেলে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাড়ৈয়ারা গ্রামের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।