টঙ্গীতে ট্রান্সপোর্ট নির্বাচনে হামলা, সাংবাদিকসহ আহত ১০
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
গাজীপুর প্রতিনিধি:
টঙ্গীতে গাজীপুর জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের ফলাফলকে কেন্দ্র করে বিএনপির পরাজিত এক পক্ষ হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এসময় সাংবাদিকসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২০০৪ সালের পর থেকে রাজনৈতিক নানা সমীকরণে টঙ্গীতে অবস্থিত গাজীপুর জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির নির্বাচন হয়নি। দীর্ঘ দিন পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দিনব্যাপী টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির ভবনে ভোট গ্রহণ হয়।
এদিকে শান্তিপূর্ন নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার আগ মুহুর্তে রাত নয়টার দিকে পরাজয় বুঝতে পেরে পরাজিত প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনির হোসেনের নেতৃত্বে সুমন, হৃদয়, মিস্টার, নান্দু, মাহাবুব আলমসহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা রামদা নিয়ে হামলা চালিয়ে সংবাদকর্মী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের অবরুদ্ধ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় হীরা, আবুল খায়ের জাহিদ হাসান বাবুসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, গাজীপুর জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ২৩ পদে ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার ৫২৮ জন। এর মধ্যে তিনজন ভোটার ইতিমধ্যে মারা যাওয়ায় এখন ভোটার ৫২৫ জন আর নির্বাচনে ভোট দেন ৪৮৬ জন।
তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা আবুল হাসেম, সহকারী নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সেলিম হোসেন ও আল আমিন মিয়া।
নির্বাচনে সভাপতি পদে বিজয়ী হয়েছেন হারিকেন প্রতীকের প্রার্থী তৌহিদুজ্জামান শিমুল ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন খেজুর গাছ প্রতীকের দ্বীন মোহাম্মদ নিল মিয়া।
বিজয়ী অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহেল আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ হোসাইন, অর্থ সম্পাদক পদে আব্দুল গাফফার সবুজ, দপ্তর সম্পাদক আ. আলিম বাদশা, প্রচার সম্পাদক রহমত উল্লাহ। এছাড়া অন্যান্য পদ মিলিয়ে মোট ২৩ জন প্রার্থী বিজয়ী হন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবুল হাসেম জানান, শেষ পর্যন্ত অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তবে শেষ মুহূর্তে পরাজিত কয়েকজন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা ফলাফল বানচাল করার লক্ষ্যে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। তারপরও ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।