নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রতিদিনই লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে লেনদেন খরা।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার।
এর আগে গত সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস এবং শেষ কার্যদিবসে শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। সেই সঙ্গে এক মাসের বেশি সময় পর ডিএসইতে ৫০০ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া লেনদেন খরা চলতি সপ্তাহেও অব্যাহত রয়েছে। আজও ডিএসইতে পাঁচশ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিট সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকে। কিন্তু এর পর লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে এ ধারা। ফলে সবকটি সূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে মাত্র ২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪২টির। আর ১৬৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সবকটি মূল্যসূচক কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৬৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৫০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সোনালী পেপারের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ১০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের ২৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফুয়াং ফুড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এমারেল্ড অয়েল, রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্স, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, মেট্রো স্পিনিং, লিগাসি ফুটওয়্যার এবং সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিস।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন অংশ নেওয়া ১৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৪টির এবং ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।