ডেস্ক রিপোর্টঃ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে চুক্তি স্থগিত করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে জর্জিয়ার রাজধানী তিবিলিসিতে বিক্ষোভে নেমেছে সাধারণ মানুষ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে। এছাড়া একাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে রুশ বার্তাসংস্থাগুলো সোমবার (২ ডিসেম্বর) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
৩৭ লাখ জনসংখ্যার এই দেশে কয়েক দিন ধরে রাস্তায় নামছে হাজার হাজার মানুষ। তারা ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান স্বৈরাচারী, পশ্চিমবিরোধী ও রুশপন্থি নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে।সোমবার ভোরে কয়েক ঘণ্টার অচলাবস্থার পর পার্লামেন্ট ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে কেন্দ্রীয় রাস্টাভেলি অ্যাভিনিউ হয়ে তিবিলিসি অপেরা হাউসের দিকে ঠেলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ব্যারিকেড নির্মাণ শুরু করে।বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময়, বিক্ষোভকারীরা আতশবাজি ছুড়ে মারলে পুলিশ জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই সংঘর্ষের ফলে বিক্ষোভকারীরা অ্যাভিনিউ ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়।
বৃহস্পতিবার সরকার ইইউর সঙ্গে চার বছরের জন্য আলোচনা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ঘোষণার প্রতিবাদে ইইউপন্থী বিক্ষোভকারীরা পুলিশের মুখোমুখি হচ্ছে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত কতজন বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
জর্জিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানানো হয়, সাম্প্রতিক তিবিলিসি বিক্ষোভে ১১৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
জর্জিয়ার পশ্চিমাপন্থি প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিশভিলি চাপ প্রয়োগ করে সাংবিধানিক আদালতের মাধ্যমে গত মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধীদল ও জুরাবিশভিলি উভয়ই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রুশ বলয়ের দিকে জর্জিয়ার সরে যাওয়া নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টির দাবি, বাইরের হস্তক্ষেপ দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা কাজ করছে।